মহারাষ্ট্রে স্বাস্থ্য ব‍্যবস্থার খারাপ অবস্থা দেখে কেঁদে ফেললেন মেডিকেল অ্যাসিসটেন্স সেলের প্রধান, ভাইরাল হল ভিডিও

বাংলাহান্ট ডেস্ক: মহারাষ্ট্র (Maharashtra), একসময়কার হাসিখুশি ব‍্যস্ত শহরে আজ হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতাল থেকে শয়ে শয়ে মানুষের মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শ্মশানে। ‘আমরা কিছুই করতে পারছি না’ বলে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মহারাষ্ট্রের মেডিকেল অ্যাসিসটেন্স সেলের প্রধান ওম প্রকাশ শেট্টি (Omprakash Shete)।

করোনার তান্ডব
চীনে জন্ম নিয়ে করোনা ভাইরাস এমন কোন দেশ নেই, যেখানে বিস্তার লাভ করেছে। বিভিন্ন দেশ এই মারণ ভাইরাসের ফাঁদ কেটে বেরিয়ে এলেও ভারত, আমেরিকা, রাশিয়ার মত বেশ কয়েকটি দেশে এখনও তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে এই মহামারী।

AP20083272297427

সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে মহারাষ্ট্রে
ভারতে সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে মহারাষ্ট্রে। শুরুর দিন থেকে আজ অবধি ভারতের এই অংশে করোনা ভাইরাস ঘাঁটি গেঢ়ে বসেছে। বর্তমান সময়ে এখানে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষের কাছাকাছি এবং মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজার।

মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের রাজ‍্যে করোনা পরিস্থিতির বেহাল দশা জানিয়ে এই কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন‍্য আদালতের কাছে আর্জি জানালেন মহারাষ্ট্রের মেডিকেল অ্যাসিসটেন্স সেলের প্রধান ওম প্রকাশ শেট্টি। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই আর্জির কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ওম প্রকাশ শেট্টি। স‍্যোশাল মিডিয়ায় বহুল পরিমাণে এই ভিডিও ভাইরাল (viral video) হয়েছে।

ভাইরাল ভিডিওর বিষয়
ওম প্রকাশ শেট্টি বললেন, ‘এক সময়কার সাজানো মন্দির আজ ভেঙে পড়েছে। মানুষ নিজেদের বাচ্চাকেও বাঁচাতে পারছে না। নিজেরাও বাঁচাতে পারছেন না। প্রতিদিন ৬০০ জন করে করোনা যুদ্ধে হেরে মৃত্যুর সাগরে তলিয়ে যাচ্ছে। মানুষের উত্তর দিতে দিতে হাপিয়ে গেছি আমরা’।

নিজের আবেগ সামলাতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পড়েও নিজেকে সামলে নিয়ে কান্না ধরা গলায় তিনি বললেন, ‘রাতে ঠিক করে আমি ঘুমাতে পারি না। মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ক্ষমতা আছে, তিনি কিভাবে সেই পাওয়ার ব‍্যবহার করবেন সেটা তাঁর বিষয়। আমার আর কারো উপর কোন ভরসা নেই। তাই মহামান্য আদালতের কাছে আমার আর্জি, আর পারছি না, এবার এই বিষয়ে দয়াকরে একটা কিছু ব‍্যবস্থা করুন। নাহলে সাধারণ মানুষগুলো এক এক করে সব শেষ হয়ে যাবে’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর