বাংলা হান্ট ডেস্ক: পৃথিবীতে মাত্র পাঁচটি বসন্ত দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। পাঁচ বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে কলকাতায় প্রথম আসেন শৌভিক। প্রথমবার কলকাতাতে এসে শহরটাকে ভালোবেসে ফেলেছিল ছেলেটি। সেদিন বাবার কাছে আবদারের সুরে বলেছিল, আমি কলকাতাতেই থাকবো। কিন্তু সেই থাকার হলো কই! ছেলের মৃত্যুর পর দেহ দান মেডিক্যাল কলেজে(Medical College)।

দু’চোখে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন, মৃত্যুর পরও শিক্ষক বছর ৫-এর শৌভিক(Medical College)
সূত্রের খবর, এসএসকেএম এর ব্লাড ব্যাঙ্কের কিছু অমানবিক স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য মৃত্যু হয় শৌভিকের। ছেলের মৃত্যুর পর পরিবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে (NRS) প্রয়াত ছেলে সমন্ধে যে শংসাপত্র দিয়েছেন তাতে লেখা রয়েছে সেই কথা।
১৯৯৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় শৌভিকের।তিনি আসানসোলের বাসিন্দা ছিলেন।ছোট্ট শৌভিক অসুস্থ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ১৯৯৮ সালের ২৯ অক্টোবর। তবে ছেলের স্মৃতি বাঁচিয়ে রাখতে শৌভিকের পরিবার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে ছেলের দেহ দান করেন।
এখন সেই অ্যানাটমি বিভাগের ডাক্তারি পড়ুয়ারা পড়াশোনার কাজে ব্যবহার করছে শৌভিকের অস্থিচর্মসার দেহটা। কাঁচের বাক্সে ঢাকা শৌভিকের সেই কঙ্কালের উপর টাঙানো রয়েছে পাঁচ বছরের সেই ছোট্ট ছেলেটির সবুজ সতেজ চোখের ছবি।
আরও পড়ুন: নয়া নিষেধাজ্ঞা জারি! ৬২লক্ষ গাড়িতে ভরা যাবে না পেট্রোল ডিজেল, কিন্তু কেন?
উল্লেখ্য, ছোট থেকে তিলোত্তমা শহরের প্রতি টান ছিল শৌভিকের। পাশাপাশি স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও, শৌভিকের ভালো লাগাকে মর্যাদা দিতে পরিবার শৌভিকের দেহটি তুলে দিয়েছিল নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের হাতে। তবে,মরণোত্তর দেহদান নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তর সচেতনতার প্রচার চালাচ্ছে। যেখানে বলা হচ্ছে, মৃত্যুর পরেও কাজে লাগতে পারে আপনারই প্রিয়জনের দেহটি। যার মস্ত বড় প্রমাণ আসানসোলের শৌভিক।
‘আমাদের পছন্দ ইসলাম, মুসলিমরা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না, হিন্দুরা করে’, TMC বিধায়কের দাবিতে শোরগোল