বাংলাহান্ট ডেস্ক : সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল গোটা বাংলাদেশ (Bangladesh)। ঢাকা থেকে ফরিদপুর, চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল, বিক্ষোভের আঁচে জ্বলছে ‘সোনার বাংলা।’ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বাংলাদেশের সরকার রাস্তায় নামিয়েছে সেনা। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে বাতিল করা হয়েছে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস।
কলকাতায় (Kolkata) আগত বাংলাদেশের (Bangladesh) রোগীরা মহাবিপদে
অন্যদিকে, কলকাতায় (Kolkata) চিকিৎসা করাতে আসা বাংলাদেশের (Bangladesh) বাসিন্দারা পড়েছেন বড় বিপদে। ক্রমশ তাদের কাছে থাকা অর্থ ফুরিয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ করতে পারছেন না ওপারে থাকা স্বজন-বন্ধুদের সাথে। কোনও রোগী বা রোগীর পরিবারের ভিসার (Visa) মেয়াদ শেষের পথে, আবার কারোর টাকা ফুরানোর পথে।
আরোও পড়ুন : র্যাগিং, একের পর এক অভিযোগ! তবুও নজরকাড়া সাফল্য JU’র, কোন সুখবরে উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা?
বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসা অনেক রোগী ও রোগীর পরিবার থাকেন EM বাইপাস লাগোয়া পঞ্চসায়র থানা এলাকার হোটেল ও গেস্ট হাউসে। তাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে দেশে ফেরানোর। বাংলাদেশের বাসিন্দা মহঃ আব্দুল রশিদ বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে এপারে চিকিৎসা করাতে এসে মহা সমস্যায় পড়েছেন।
আরোও পড়ুন : ওমা সে কী! এবার টিকিট থাকলেও ট্রেন থেকে নামাতে পারে টিটি! রেলের এই নতুন নিয়ম জানেন?
একটি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, “এখানে হাসপাতালে এসেছি ডাক্তার দেখাতে। কাজ শেষ হয়েছে ঠিকই তবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে খুব চিন্তায় আছি। ওখানে ছেলে-মেয়ে রয়েছে, কী অবস্থা, কী পরিস্থিতি কিছু বুঝতে পারছি না। নেট কানেকশনও নেই ওখানে, ফোনও লাগছে না। চিন্তা হচ্ছে। আজই বর্ডারে চলে যাব, যদি ফেরত যেতে না পারি ওখানেই কোথাও থেকে যাব।”
খুলনার মনিরুল ইসলামের কথায়, ‘ওখানে অশান্তি শুরু আগে কলকাতায় এসেছিলাম। এবার ওখানে আর খোঁজ নিতে পারছি না। নেট বন্ধে সমস্যায় পড়েছি। এখন যে কী পরিস্থিতি এখানে বসে বুঝতে পারছি না। কালকেই চলে যাব ভাবছিলাম। কিন্তু কীভাবে যাব সেটাই ভাবছি। যদি মাঝরাস্তায় হরতাল ডাকে, আটকা পড়ে যাব। ভিসার সময় কমে আসছে। দেশে কারও সঙ্গেই কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না।’