বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অভিনেত্রী হিসেবে তো বটেই, নেত্রী হিসেবে বঙ্গ রাজনীতির অতি পরিচিত মুখ জুন মালিয়া (June Malia)। অল্প সময়ের মধ্যেই রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় তৈরি করেছেন তিনি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) সেই জুনকেই ‘দিলীপ গড়’ মেদিনীপুর থেকে দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তাঁকে ঘিরে ধরলেন গ্রামের মহিলারা।
গত মার্চ মাসে মেদিনীপুরের (Medinipur) প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই কোমর বেঁধে ভোট ময়দানে নেমে পড়েছেন জুন। প্রচারে কোনও খামতি রাখছেন না তিনি। শনিবার যেমন মেদিনীপুরের দাঁতন ২ ব্লকের হরিপুর অঞ্চলে প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) প্রার্থী। তবে সেখানে যেতেই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরেন গ্রামের মহিলারা।
জুনের গাড়ি ঘিরে ধরে আবাস যোজনায় বাড়ি না পাওয়ার অভিযোগ জানান তাঁরা। গ্রামের মহিলাদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনার পর তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে যদি বাড়ির টাকা না আনতে পারি তাহলে আপনারা বলবেন। আমি ইস্তফা দিয়ে চলে যাব’।
আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপের আগেই বাংলায় শুরু ঝড়বৃষ্টি! রবিবার ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের এই ১০ জেলাঃ আবহাওয়ার খবর
এখানেই না থেমে মেদিনীপুরের পদ্ম প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকেও একহাত নেন জুন। সেখানে আগত সকল মহিলার উদ্দেশে তৃণমূল প্রার্থী প্রশ্ন করেন, ‘অগ্নিমিত্রা পালকে জিজ্ঞেস করবেন ১৫ লক্ষ টাকা কোথায়? কালো টাকা কোথাও? জিজ্ঞেস করুন নরেন্দ্র মোদীকে’।
এরপর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করিয়ে জুন বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৫০ কিলোমিটার রাস্তা বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে গিয়েছেন। আমরা কথা দিলে সেই কথা রাখি। নরেন্দ্র মোদী তা রাখেন না। আর অগ্নিমিত্রা পাল আসানসোলে একটা কাজও করেননি। তিন বছরের বিধায়ক। গত তিন বছরে আমি কী কী কাজ করেছি সেটাও দেখে আসুন’।
উল্লেখ্য, আগামী ২৫ মে নির্বাচন রয়েছে মেদিনীপুরে। তার আগে জোরকদমে ভোট প্রচার করছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। একে অপরকে আক্রমণ শানাতে কেউই পিছপা হচ্ছেন না। জুন নাকি অগ্নিমিত্রা, দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর এই লড়াইয়ে শেষ অবধি কে বাজিমাত করে সেটাই দেখার।