আম্বানি-টাটা-আদানি নয়! বরং ভারতের সবথেকে দানশীল ব্যক্তি হলেন ইনি, অবাক করবে তাঁর কর্মকাণ্ড

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের সফল শিল্পপতিদের প্রসঙ্গ সামনে এলেই যাঁদের নাম সবার প্রথমে আসে তাঁরা হলেন রতন টাটা (Ratan Tata) গৌতম আদানি (Gautam Adani), মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) সহ অন্যান্যরা। পাশাপাশি, দেশের এই ধনকুবেররা প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকেন বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিভিন্ন সময়েই তাঁদের বিপুল অর্থ সামাজিক কাজে দান করতেও দেখা যায়। বলা হয় যে, টাটা সন্সের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রতন টাটা তাঁর উপার্জনের ৬০ শতাংশ গরিবদের সাহায্য করার জন্য দান করেন।

তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি মানুষকে সাহায্য করার বিষয়ে টেক্কা দিয়েছেন দেশের শ্রেষ্ঠ ধনকুবেরদেরও। পাশাপাশি, নিতান্তই একজন সাধারণ মানুষ হয়ে তিনি নিঃশব্দে করে চলেছেন সমাজসেবামূলক কাজ। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠতেই পারে যে, ওই মহান ব্যক্তির পরিচয় ঠিক কি? চলুন, জেনে নেই সেই প্রসঙ্গে।

   

Meet India's most charitable person

মূলত, আমরা যাঁর কথা আপনাদের জানাবো তাঁর নাম হল ফকির চাঁদ। তিনি তাঁর মোট উপার্জনের ৯০ শতাংশ গরিবদের দান করেন। হরিয়াণার কাইথালে বসবাসকারী ফকির চাঁদের বয়স হল ৫৩ বছর। জানা গিয়েছে, তাঁর মোট পাঁচজন ভাই-বোন ছিল এবং তাঁদের কারোরই বিয়ে হয়নি। যদিও, বর্তমানে তাঁরা সকলেই প্রয়াত হয়েছেন। অর্থাৎ, ফকির চাঁদ তাঁর পরিবারের একমাত্র জীবিত সদস্য।

আরও পড়ুন: হার মানবে সিনেমাও! গয়না বিক্রি করে স্বামীকে পড়িয়েছেন স্ত্রী, এখন দু’জনেই করছেন সরকারি চাকরি

এমতাবস্থায়, ফকির চাঁদ তাঁর ভাই-বোনের কিছু টাকা পেয়েছিলেন। যেটি দিয়ে তিনি নিশ্চিন্তে ভালোভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারতেন। কিন্তু, তিনি মন দেন দান-ধ্যানে। উল্লেখ্য যে, ফকির চাঁদ স্ক্র্যাপের ব্যবসা করেন এবং তিনি একজন কঠোর পরিশ্রমী মানুষ। তিনি বিশ্বাস করেন যে, তাঁর করা ভালো কাজগুলি তাঁর পরবর্তী জীবনে সুফল এনে দিতে পারে। গত ২৫ বছর ধরে পিচবোর্ড ও কাগজপত্র বিক্রির কাজ করছেন ফকির চাঁদ। মুলত, তিনি দোকান থেকে কার্ডবোর্ড কিনে তারপর স্ক্র্যাপ ডিলারদের কাছে বিক্রি করেন।

আরও পড়ুন: দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন ডান হাত! মনের জোরকে সম্বল করেই IAS হয়ে নজির গড়লেন অখিলা

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ফকির চাঁদ পাঁচজন দরিদ্র মেয়ের বিয়েতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি তাদের বিয়েতে প্রত্যেককে ৭৫,০০০ টাকার জিনিসপত্র দিয়েছেন। খবর অনুযায়ী, ফকির চাঁদ এখনও পর্যন্ত ৩৫ লক্ষ টাকারও বেশি দান করেছেন। এমতাবস্থায়, ফকির চাঁদ নিঃসন্দেহে আমাদের সকলের কাছে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। পাশাপাশি, তিনি যেভাবে মানুষের উদ্দেশ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন তা জেনে সকলেই তাঁর প্রশংসাও করছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর