ভারতের ৯ জন ধনী আধ্যাত্মিক গুরুর মোট সম্পদ জানলে উড়বে হুঁশ, তালিকায় রয়েছে বড় চমক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে (India) বর্তমান সময়ে আধ্যাত্মিক গুরু তথা “বাবা”-দের অভাব নেই। বাগেশ্বর সরকার বাবা থেকে শুরু করে বাবা রামদেব প্রত্যেকেই সাম্প্রতিককালে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে রীতিমতো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। এর পাশাপাশি সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমশ বাড়ছে তাঁদের অনুরাগীদের সংখ্যাও। এমতাবস্থায়, আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই আধ্যাত্মিক গুরুদের মোট সম্পদের পরিমাণ কত? অনেকেই এই সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানেন না। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এর মধ্যে একজন গুরুর প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে জানা যায়। বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা ভারতের (India) এইরকমই ৯ জন “বাবা”-র মোট সম্পদের তথ্য উপস্থাপিত করছি।

ভারতের (India) ৯ জন ধনী আধ্যাত্মিক গুরু:

৯. বাবা রামদেব: আমাদের দেশে (India) বাবা রামদেব অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাঁর সংস্থা “পতঞ্জলি”-র একাধিক পণ্য ইতিমধ্যেই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তিনি ১৯৯৫ সালে দিব্য যোগ্য মন্দিরের স্থাপনা করেন। পাশাপাশি, তিনি দেশের একজন অন্যতম জনপ্রিয় যগগুরু হিসেবেও বিবেচিত হন। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তিনি সমগ্র বিশ্বের মঞ্চে যোগকে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমান পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাবা রামদেবের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১,৬০০ কোটি টাকা।

৮. বাবা বাগেশ্বর: এবারে আমরা আপনাদের জানাবো বাবা বাগেশ্বরের প্রসঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে (India) অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। ধীরেন্দ্র শাস্ত্রী বাগেশ্বর বাবার মোট সম্পদের পরিমাণ হল প্রায় ৯ কোটি টাকা। তিনি প্রতি মাসে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন। এমতাবস্থায়, তাঁর বার্ষিক উপার্জনের পরিমাণ পৌঁছে যায় প্রায় ৪০ লক্ষ টাকায়।

Meet the 9 richest spiritual gurus in India.
বাবা বাগেশ্বর

৭. রাধে মা: অত্যন্ত গ্ল্যামারাস এবং বিতর্কিত ধর্মগুরু হিসেবে পরিচিত রাধে মা মুম্বাইয়ের বরিভেলিতে একটি সুন্দর প্রাসাদে থাকেন। তাঁর কাছে Jaguar-এর মতো বিভিন্ন বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। আমেরিকা থেকে শুরু করে কানাডা এবং জাপানেও রাধে মা’র আশ্রম রয়েছে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা হলেও নির্দিষ্টভাবে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও পরিসংখ্যান সামনে আসেন।

৬. মোরারি বাপু: সমগ্র দেশে (India) ঘুরে ঘুরে রামকথা শোনান মোরারি বাপু। আর এই রামকথা শোনানোর মাধ্যমে তিনি উপার্জন করেন বিপুল অর্থ। জানা গিয়েছে, তাঁর বার্ষিক উপার্জনের পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। তবে, মোরারি বাপু প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকেন বিভিন্ন দান-ধ্যানের সাথে। অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের জন্য তিনি ১১ কোটি টাকা দান করেছিলেন।

Meet the 9 richest spiritual gurus in India.
মোরারি বাপু

৫. নির্মল বাবা: অনুরাগীরা মনে করেন যে, নির্মল বাবার কাছে সব ধরণের সমস্যার সমাধান রয়েছে। তবে, তিনি অত্যন্ত বিচিত্রভাবে সমস্ত সমস্যার সমাধান করেন বলেও জানা গিয়েছে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৪০ কোটি টাকা।

৪. সাদগুরু: ইশা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সাদগুরু সমগ্র বিশ্বজুড়েই অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি তাঁর বিভিন্ন সামাজিক এবং প্রকৃতি সংরক্ষণের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রায়শই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ হল প্রায় ১৮ কোটি টাকা।

Meet the 9 richest spiritual gurus in India.
সাদগুরু

৩. শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর: দেশের (India) প্রসিদ্ধ আধ্যাত্মিক গুরুর মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর। তথ্য অনুযায়ী, সমগ্র বিশ্বজুড়ে ১৫০ টি দেশে তাঁর ৩০ কোটিরও বেশি অনুরাগী রয়েছেন। তিনি বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধের ব্যবসার সাথেও যুক্ত। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ১,০০০ কোটি টাকারও বেশি।

আরও পড়ুন: পরীক্ষা ছাড়াই SBI-তে চাকরির সুযোগ, বিপুল শূন্যপদে নিয়োগের জন্য জারি বিজ্ঞপ্তি, এভাবে করুন আবেদন

২. আশারাম বাপু: ভারতের (India) একজন বিতর্কিত ধর্মগুরু হলেন আশারাম বাপু। তাঁর ওপর ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয়, তিনি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে রাজস্থানের যোধপুরে জেলে রয়েছেন। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, তাঁর সমগ্র ভারতে ৩৫০ টি আশ্রম রয়েছে। আশারাম ট্রাস্টের মোট টার্নওভার প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। পাশাপাশি, আশারাম ১৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক।

আরও পড়ুন: UPSC পরীক্ষায় প্রিলিমস উত্তীর্ণ হলেই মিলবে ১ লক্ষ টাকা! বিরাট ঘোষণা সরকারের

১. সত্য সাই বাবা: জানিয়ে রাখি যে, সত্য সাই বাবার ভক্তদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের (India) কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকার। ২০১১ সালে সত্য সাই বাবার মৃত্যুর সময়ে তাঁর ঘর থেকে ৯৮ কেজি সোনা, নগদ ১১ কোটি টাকা এবং ৩০৭ কেজি রুপো পাওয়া গিয়েছিল। একটি পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়েছে যে, সত্য সাঁই বাবার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০,০০০ টাকারও বেশি।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর