বাংলাহান্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের মুকেশ আম্বানিকে চেনেন? জিন্নার দেশের ধনীতম ব্যক্তির আবার রয়েছে কলকাতা যোগও! বর্তমানে পাকিস্তানের পরিস্থিতি একেবারেই শোচনীয়। অর্থনৈতিক সঙ্কটের ফলে কাঙাল হতে চলেছে দেশটি। কিন্তু সাধারণ মানুষ গরিব হলেও ধনী ব্যক্তিদের অভাব নেই পাকিস্তানে। এমনই এক ব্যক্তি হলেন মিয়ান মহম্মদ মানশা (Mian Mohammad Mansha)। তাঁকে পাকিস্তানের মুকেশ আম্বানি বলেও সম্বোধন করা হয়। বর্তমানে তিনিই সে দেশের ধনীতম ব্যক্তি (Richest Person of Pakistan)।
প্রতিবেশী দেশে ভয়ানক অর্থ সঙ্কট চললেও সেখানকার শিল্পপতিরা সুখেই থাকেন। দেশের মানুষের মধ্যে দারিদ্র এলেও তার বিন্দুমাত্র আঁচ পড়ে না ধনীদের উপর। তবে মিয়ান মহম্মদ মানশা পাকিস্তানের জন্য একটি আশার আলো। সাধারণত ধনকুবেরদের উপর দেশের অর্থনীতির কিছুটা নির্ভর করে। যেমন ভারতের অর্থনীতি কিছুটা শিল্পপতিদের উপর নির্ভরশীল। বাকিটা কৃষির উপর নির্ভর করে দেশের অর্থনীতি।
মিয়ান মহম্মদ মানশার বাবা একজন সুতির কাপড়ের ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি নিজেও লন্ডন থেকে স্নাতক পাশ করেছেন। তিনি নিশাত টেক্সটাইল মিল-এর মালিক হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও ব্যাঙ্কিং, ইন্স্যুরেন্স, সিমেন্ট ও এনার্জি ব্যবসাতেও বিনিয়োগ করেছেন। মিয়ান ও তাঁর পরিবার পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় করদাতা হিসেবে পরিচিত। লন্ডনেও একাধিক দামি সম্পত্তি রয়েছে তাঁর।
২০১০ সালে পৃথিবীর ধনকুবেরের তালিকায় মিয়ানের নাম তালিকাভুক্ত করে। ফোর্বসের ৯৩৭ তম স্থানে ছিলেন মিয়ান মহম্মদ মানশা। তবে ২০২২ সালে তাঁকে পাকিস্তানের ধনীতম ব্যবসায়ী ঘোষণা করা হয়। শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও ব্যবসা রয়েছে মানশার। ২০০৮-এ মেব্যাঙ্ক অফ মালয়েশিয়া ও এমসিবি চালু করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৫ বিলিয়ন ডলার।
মিয়ান মহম্মদ মানশার জন্ম ১৯৪৭ সালে। তাঁর সঙ্গে কলকাতার একটি যোগ রয়েছে। স্বাধীনতার আগে মানশার পরিবার কলকাতায় থাকত। দেশভাগের পর তাঁর পরিবার পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে চলে যায়। সেখানে একটি মিল চালু করেন তাঁরা। সেখানেই শুরু। তারপর ক্রমশ ব্যবসায় প্রতিপত্তি হতে পারে তাঁদের। মিয়ানের কাছে একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। মার্সিডিজ ই ক্লাস, জাগুয়ার কনভার্টিবল, পোর্শে, বিএমডব্লু ৭৫০, রেঞ্জ রোভার ও ফোক্সভাগেনের মতো গাড়ি রয়েছে তাঁর গ্যারাজে।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা