দূর হবে বৈষম্য! বাংলার সরকারি কর্মী-অফিসারদের জন্য বড় খবর! বৃহস্পতিতেই …

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার এবং সরকারি কর্মীদের (Government Employees) মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলছে। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। সেই সঙ্গেই আরও একটি বিষয়ে সরকারি কর্মীদের একাংশের মনে অসন্তোষ রয়েছে বলে খবর। এবার সেটা দূর করতেই উদ্যোগী রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার তাই নবান্নে বসতে চলেছে হাইপাওয়ার্ড কমিটির বৈঠক।

  • সরকারি কর্মী-অফিসারদের (Government Employees) নিয়ে নয়া সিদ্ধান্ত?

রাজ্যের নানান স্তরের সরকারি কর্মচারী ও অফিসারদের মধ্যে বৈষম্যের অভিযোগ প্রায়ই উঠতে দেখা যায়। নবান্নের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের নানান সেক্রেটারিয়েট কিংবা সচিবালয়ের কর্মীরা সর্বদা বাড়তি সুযোগ সুবিধা পান, পদোন্নতির ক্ষেত্রেও তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অন্যান্য সরকারি কর্মীরা কেন সেটা পান না? প্রায়শয়ই মাথাচাড়া দেয় এই প্রশ্ন। এবার সেই অভিযোগের নিরসন করতে উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার (Government of West Bengal)।

এই অভিযোগ দূর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি হাইপাওয়ার্ড কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন। আগামীকাল নবান্নে (Nabanna) বৈঠকে বসছেন এই কমিটির সদস্যরা। কীভাবে বৈষম্য দূর করা যায় সেটার খসড়া এই বৈঠকে তৈরি করা হবে বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ মমতাকে চিঠি সুখেন্দুর! ‘ভুল’ স্বীকার করে লিখলেন … ক্ষমা করল তৃণমূল?

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে নবান্ন সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, এই হাইপাওয়ার্ড কমিটির চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গেই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের একজন যুগ্ম অধিকর্তা, পূর্ত দফতরের যুগ্ম সচিব এবং অর্থ ও পার্সোনেল অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে এই কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে খবর।

Government employees

রিপোর্ট বলছে, তিনটি ধাপের নিয়ম মেনে রাজ্য প্রশাসন চলে। সবার প্রথমে সেক্রেটারিয়েট, এরপর ডিরেক্টরেট এবং শেষে রিজিওনাল অফিস। সেক্রেটারিয়েট বিভাগের কর্মীরা যেমন বেশি সুযোগ সুবিধা পান, তেমনই তাঁদের প্রোমোশনের সুযোগও বেশি। এখানে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক পদে কর্মরত কর্মী (Government Employees) পদোন্নতি পেতে পেতে স্পেশ্যাল সেক্রেটারি অবধি হতে পারেন। তবে বাকি দুই বিভাগের কর্মীদের কাছে এই সুযোগ থাকে না। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও এই সুযোগ থেকে তাঁরা বঞ্চিত হন। খুব বেশি হলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার হতে পারেন তাঁরা।

এই নিয়ে সরকারি কর্মীদের (Government Employees) একাংশের মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে বলে খবর। এবার সেটা দূর করতেই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামীকাল নবান্নে হাইপাওয়ার্ড কমিটির বৈঠকে কী হয় আপাতত সেটাই দেখার।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর