বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: ভারতের বেশ কিছু বড় হিন্দু সংগঠনগুলি আজ ১০ই মে একসাথে দিল্লিতে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের কাছে হনুমান চালিসা পাঠ করে নতুন নজির গড়লো। সেই সঙ্গে কুতুব মিনারের নাম পরিবর্তন করে “বিষ্ণু স্তম্ভ” নাম রাখার দাবি জানিয়েছে হিন্দু সংগঠনগুলো। ইউনাইটেড হিন্দু ফ্রন্টের কুতুব মিনারের নাম পরিবর্তন করে “বিষ্ণু স্তম্ভ” নাম রাখার এই আবেদনে নানান রকম জল্পনা শুরু হয়েছে। ইউনাইটেড হিন্দু ফ্রন্ট দাবি করেছে কুতুব মিনার আদতে একটি বিষ্ণু স্তম্ভ। একসাথে ২৭ টি জৈন ও হিন্দু মন্দির ভেঙে এই মিনারটি নির্মাণ করা হয়েছিল বলে দাবি তাদের।
এইমুহূর্তে ইউনাইটেড হিন্দু ফ্রন্ট কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে জৈন ও হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি স্থাপন করে সকল হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের এখানে পুজো করার অনুমতি আদায় করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছেন। তারা প্রাথমিক ভাবে কুতুব মিনার কমপ্লেক্সে একটি বিষ্ণু স্তম্ভ স্থাপনের আবেদন জানিয়েছে। আজ কুতুব মিনারের কাছে তাদের ব্যবস্থাপনায় নানান ঋষি ও সাধুদের উপস্থিতিতে হনুমান চালিশা আবৃত্তি করা হয়। হিন্দু ফ্রন্টের আন্তর্জাতিক কার্যকরী সভাপতি এবং জাতীয়তাবাদী শিবসেনার জাতীয় সভাপতিও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, দিল্লির আদালতের নির্দেশ অনুসারে এএসআই কর্তৃক প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের পরে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কুতুব মিনার কমপ্লেক্স থেকে ভগবান গণেশের দুটি মূর্তি না সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। অতিরিক্ত জেলা জজ নিখিল চোপড়া তার আদেশে বলেছিলেন যে যতদিন না শুনানির পরবর্তী তারিখ ঘোষণা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে হবে। এএসআইয়ের মূর্তি সংরক্ষণের কাজে আদালত সন্তুষ্ট।
Delhi | Members of Hindu organisation Mahakal Manav Sewa protest near Qutub Minar, demand renaming of Qutub Minar as Vishnu Stambh pic.twitter.com/HuPsf6oakP
— ANI (@ANI) May 10, 2022
অ্যাডভোকেট হরি শঙ্কর জৈনের দায়ের করা একটি মামলার ভিত্তিতে আদালত এই নির্দেশ দিয়েছে। পিটিশনে দাবি করা হয়েছে যে ভারতে সুলতান শাসনের সময় কুতুবুদ্দিন আইবক কর্তৃক ২৭ টি মন্দির আংশিকভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছিল এবং সেই ধ্বংসাবশেষের ওপর মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। অ্যাডভোকেট হরি শঙ্কর জৈন জানিয়েছেন যে মসজিদ প্রাঙ্গনে প্রাচীনকাল থেকে গণেশের দুটি মূর্তি রয়েছে এবং তিনি আশঙ্কা করেছিলেন যে এএসআই সেগুলিকে নিছক প্রত্নবস্তু হিসাবে বিবেচনা করে একটি জাতীয় যাদুঘরে পাঠাতে পারে। কিন্তু এএসআই জানিয়ে দিয়েছে যে তারা মূর্তিগুলি কোথাও সরানোর পক্ষপাতী নন।