বাংলাহান্ট ডেস্ক: জি বাংলায় প্রতিদিন বিকেল পাঁচটায় সম্প্রচারিত হয় দিদি নাম্বার ওয়ান (didi number one)। যত দিন যাচ্ছে এই রিয়েলিটি শোটি মানুষের মনে পাকাপাকি ভাবে জায়গা করে নিচ্ছে। শুধুমাত্র খেলা ও উপহার দেওয়াই নয়, এই শো তে এসে নিজেদের সুখ দুঃখের কথা, নিজেদের জীবন সংগ্রাম তুলে ধরেন প্রতিযোগীরা। উপরি পাওনা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দক্ষ সঞ্চালনা।
কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও নেটপাড়ার নিন্দুকদের হাত থেকে রেহাই পায় না দিদি নাম্বার ওয়ান। একাধিক বার অভিযোগ উঠেছে, শো তে এসে মিথ্যে সংগ্রামের গল্প শোনায় প্রতিযোগীরা। এমনকি অনেকে এও দাবি করেছেন যত বেশি দুঃখের কাহিনি হবে, দিদি নাম্বার ওয়ান এ সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা নাকি ততই বেড়ে যায়। এবারে একটি প্রোমোকে নিয়ে দেদারে ট্রোল শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে।
সাম্প্রতিক একটি এপিসোডে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এসেছিলেন জ্যোৎস্না শী। মঞ্চে এসে তিনি জানান কীভাবে বাঘের মুখ থেকে স্বামীকে বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। জ্যোৎস্না জানান, বনের মধ্যে বাঘের সামনে পড়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। বাঘটি লাফ দিয়ে তাঁর স্বামীর বাঁ কাঁধে কামড় দেয়।
স্বামীকে বাঁচানোর জন্য লাফ মেরে বাঘের পিঠে চেপে বসেন জ্যোৎস্না। বাঘের কানে আঙুল ঢুকিয়ে টেনে আনেন স্বামীর থেকে। রচনাকে তিনি বলেন, স্বামীকে চোখের সামনে বাঘে নিয়ে যাবে আর তিনি দাঁড়িয়ে দেখবেন সেটা হতে পারে না। জ্যোৎস্নার হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা শুনে তখন স্তব্ধ রচনা। সেই প্রোমো চ্যানেলের তরফে শেয়ার করা হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, যেটা নিয়ে যত গণ্ডগোল।
https://www.instagram.com/p/CUUjPcHIMAc/?utm_medium=copy_link
একটি মিম পেজের তরফে ভিডিওটি শেয়ার করে দাবি করা হয়েছে, দিদি নাম্বার ওয়ান সকলকে বোকা বানায়। বাঘ হাতে কামড় দিয়েছে বলা হচ্ছে অথচ শার্টের তলা থেকে উঁকি মারছে সেই হাত। কিন্তু যিনি ভিডিওটি ট্রোল করবেন বলে পোস্ট করেছিলেন উলটে নিজেই ট্রোল হয়ে গিয়েছেন। কারণ আসল ঘটনাটা একেবারেই আলাদা। শো তে জ্যোৎস্না বলেছেন, তাঁর স্বামীর কাঁধে বাঘ কামড় দিয়েছিল।
বাঘের আঁচড় কামড়ের দাগও ক্যামেরার সামনে দেখিয়েছেন তিনি। কিন্তু তিনি একবারও দাবি করেননি তাঁর স্বামীর হাতটি কাটা গিয়েছে। আসলে তাঁর হাতটি তারপর থেকেই অকেজো হয়ে গিয়েছে, যেজন্য ঠিক ভাবে শার্টও পরতে পারেন না তিনি। পেজের অ্যাডমিনকে পালটা আক্রমণ শানিয়েছেন নেটিজেনরা। পুরো ঘটনাটা জেনে তারপর কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। তাদের বক্তব্য, সুন্দরবনের মানুষের রোজকার সংগ্রামের কথা না জেনে এমন ট্রোল করা অবিবেচকের মতো কাজ।