বাংলা হান্ট ডেস্ক : বেহাল দশায় গ্রামের একমাত্র রাস্ত। সমস্যায় গ্রামবাসীরা। রাস্তার অবস্থা দেখে আর সেই গ্রামের ছেলেদের বিয়েই দিতে চায় না কোনও মেয়ের বাবা! ‘দিদির দূত’ বাগদার বিধায়ককে ঘিরে এমনই অভিযোগ জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ পেয়ে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিলেন বিধায়ক। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাগদার কোনিয়ারা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলুনি এলাকার ঘটনা এটি।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এবার জনসংযোগে কোমর বেঁধে নেমেছে সমস্ত দলই। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচি শুরু করেছে তৃণমূলও। ‘দিদির দূতে’রা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুনছেন সাধারণ মানুষের সমস্যা।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবিবার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস গিয়েছিলেন স্থানীয় কোনিয়ারা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলুনি এলাকায়৷ সেখানেই বিধায়ককে ঘিরে ধরেন গ্রামবাসীরা। নালিশ জানান একমাত্র রাস্তা নিয়ে। জানা যাচ্ছে, মন দিয়ে সব শোনেনও বিধায়ক।
স্থানীয়দের দাবি, ওই রাস্তাটাই এলাকার একমাত্র রাস্তা। সেটি ঝামা ইটের হলেও বর্তমানে তার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ফলে কেউ ওই গ্রামে যেতেই চান না। রাস্তার কারণে গ্রামের ছেলেদের নাকি বিয়ে হচ্ছে না। পাত্রীপক্ষ ছেলে দেখতে এলে রাস্তা দেখেই সম্বন্ধ বাতিল করে দিচ্ছেন। অভিযোগ পেয়ে বিশ্বজিৎবাবু গ্রামবাসীকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, ‘শীঘ্রই পিচের রাস্তা তৈরি করা হবে। টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। ২৮ শে মার্চ মুখ্যমন্ত্রী রাস্তার কাজের শিলান্যাস করবেন।’
দলের নিচু তলার কর্মীদের সঙ্গে সামঞ্জস্যের অভাব রয়েছে দলীয় নেতৃত্বের ? এদিন তৃণমূল বিধায়কের সামনে তেমনই অভিযোগ করলেন কর্মীরা। উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বাগদায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে গিয়ে নিজের দলের কর্মীদের মুখেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে। বিষয়টি নিয়ে নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস বিধায়কের।