বাংলা হান্ট ডেস্ক: শরীর খারাপ হলে সহজে বোঝা যায়। যার জন্য চিকিৎসকের কাছে যাওয়া হয়। হয় ওষুধ খাওয়া। কিন্তু মনের রোগ হলে (Mental Health); তার জন্য চিকিৎসার কথা অনেকেই ভাবে না। যেন ‘মনটা’ শরীরের অংশ নয়। আবার অনেকে তো মনের রোগের কথা এড়িয়ে যান। যার কারণবশত ভিতর ভিতর পেতে হয় চূড়ান্ত কষ্ট। এই কষ্ট এক সময়ে একাকীত্বকে (Dipression) ঘিরে ধরে। একাকিত্বের ফলে সকলের মাঝেও একলা লাগে। আবার অনেকে নিজেকে সকলের থেকে দূরে করে রাখেন। আবার অনেকে ডিপ্রেশনে ভুগছেন, তবুও চিকিৎসকের কাছে যেতে যত অনীহা দেখান।
অবসাদে বা একাকিত্বে ভুগছেন কি না জানিয়ে দেয় বাড়ির অন্দরমহল (Mental Health)
এই একাকিত্ব অথবা ডিপ্রেশনের বিষয়ে একাংশ মনোবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ‘ডিপ্রেশন রুম’ নামক শব্দ। মনোবিদদের মতে সমাজ মাধ্যমের চোখ রাখলে বহু বাড়ির অন্দরমহলের অনেক ছবি চোখে পড়ে। যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে একাকিত্ব। আসলে বলা হচ্ছে, কোন ব্যক্তি যদি একাকিত্ব ভোগেন, তাহলে তার অন্দরমহলের কয়েকটি পরিস্থিতি তা বুঝিয়ে দেবে। আপনাদের অনেকের মনে হবে এই ‘ডিপ্রেশন রুম’ কি? আসুন এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাই।
‘ডিপ্রেশন রুম সিনড্রোম’ কী?
‘ডিপ্রেশন রুম সিনড্রোম’ মূলত একটি সাধারণ শব্দ যা বিষণ্ণতা বা মানসিক অবসাদের কারণে ঘর বা পরিবেশ অপরিষ্কার বা অগোছালো থাকার অবস্থাকে বোঝায়। এটি কোনো স্বীকৃত চিকিৎসা বিষয়ক শব্দ নয়। বরং মানসিক অবসাদের কারণে ব্যক্তির জীবনযাপনে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। যদি আরও বিস্তারিতভাবে জানাই, তাহলে এই ‘ডিপ্রেশন রুম সিনড্রোম’ বলতে বোঝায়, একাকিত্ব মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। এই একাকিত্বের ফলে ঘর মূলত অপরিষ্কার থাকে। আর একেই “ডিপ্রেশন রুম” বা “বিষণ্ণতার ঘর” হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক নিরিখে ঊর্ধগামী সোনা, দেখে নিন ১ গ্ৰাম কিনতে কত খরচ পড়বে আজ
কি ভাবে মোকাবিলা করবেন এর থেকে
সর্বপ্রথম বলে রাখি, এই ধরনের অবসাদ কাটিয়ে ওঠা কঠিন নয় বলে জানিয়েছেন মনোবিদরা। তাই যদি হীনমন্যতা অথবা একাকীত্ব ঘিরে ধরে সেক্ষেত্রে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্ৰহন করা যেতে পারে
১) সপ্তাহে অন্তত একটি বার নিজের ঘরের প্রতিটি কোণে নজর দেওয়া উচিত। যদি কোথাও অপরিষ্কার বা অপরিচ্ছন্নতা নজরে আসে সঙ্গে সঙ্গে সেই জায়গাকে পরিষ্কার করা উচিত।
২) দৈনন্দিন জীবনে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা উচিত একাকিত্ব থেকে বাঁচার জন্য। এর জন্য সকাল বেলা বই পড়া, সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা, বাড়ির বাইরে বেরোনোর মতন কাজ গুলি করা উচিত।
৩) প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। এর ফলে শরীর ভালো থাকার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্য অনেকটা ভালো থাকে।
৪) এছাড়াও প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টার ঘুমোনোর চেষ্টা করুন। কারণ ঘুমের অভাবে বিষন্নতা বাড়তে পারে।
৫) নিজের জন্য সময় বার করুন। এবং এমন কিছু করুন যা আপনাকে আনন্দ দেয়।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য। কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)