ডিম ৮ টাকা! সাড়ে ৬ টাকার বরাদ্দে কি মিলবে? ক্ষোভ মিড ডে মিল নিয়ে

Published on:

Published on:

Mid Day Meal cost pressure rises as egg prices spike
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিমের দাম বাজারে আট টাকায় পৌঁছতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড-ডে মিলের (Mid Day Meal) চালচিত্রে দেখা দিয়েছে বড় সংকট। সরকারি বরাদ্দ যেখানে এখনও সাড়ে ছ’টাকা, সেখানে প্রতিদিনের খাবারে ডিম জোগানো কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ কর্মীদের।

ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) দেওয়া নিয়ে চিন্তা

মালবাজারে ডিমের দাম বেড়ে আট টাকা হওয়ার পর থেকেই চিন্তা বাড়ছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মিড-ডে মিলে (Mid Day Meal) ডিম দেওয়া নিয়ে। সরকারি বরাদ্দ মাত্র সাড়ে ছ’টাকা হওয়ায় সে দামে ডিম কেনা সম্ভব নয় বলে অভিযোগ কর্মী-সহায়িকাদের। এই পরিস্থিতিতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।

বুধবার আইসিডিএস মালবাজার দপ্তরে হাজির হয়ে ডেপুটেশন জমা দেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট অঙ্গনওয়াড়ি ওয়ার্কার্স অ্যান্ড হেলপারস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত আইসিডিএস কার্যালয়ে গিয়ে তাঁরা জানিয়েছেন, বাজারদর অনুযায়ী ডিমের মূল্য নির্ধারণ এবং মায়েদের পুষ্টি বিকাশ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো এখন অত্যন্ত জরুরি।

সংগঠনের তরফে নবনীতা মজুমদার বলেন, “বাজারে ডিম আট টাকা, কিন্তু বরাদ্দ সাড়ে ছ’টাকা। এভাবে কীভাবে ডিম কিনব? বিষয়টি আমরা আধিকারিকদের জানিয়েছি।” তিনি জানান, অভিভাবকেরা এখন ডিম না পেলে সরাসরি অভিযোগ করছেন, আর সেই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদেরই।

ডেপুটেশন প্রসঙ্গে আইসিডিএস মালবাজার ব্লকের আধিকারিক সায়ক দাস বলেন, “ডিমের দাম বাড়ার বিষয়টি আগেই ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে। আজ আবারও বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি উঠেছে। বিষয়টি ফের পাঠানো হবে।”

এদিকে ডিমের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের মোবাইল ফোন কেনা নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন সমস্যার ঝামেলা। রাজ্য সরকার প্রতিটি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীর অ্যাকাউন্টে ১০,০০০ টাকা জমা করলেও, নির্দিষ্ট দাম ও নির্দিষ্ট প্রযুক্তিগত মান মেনে ফোন বাজারে মিলছে না, এই অভিযোগও তুলে ধরেন তাঁরা। নবনীতা মজুমদার জানান, “মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে কিছু নির্দেশিকা এসেছে। কিন্তু নভেম্বর শেষ হয়ে গেলেও কোনোকিছু বাস্তবে কার্যকর হয়নি।” অন্যদিকে এই বিষয়েও আইসিডিএস আধিকারিক সায়ক দাস বলেন, “ফোন সংক্রান্ত সমস্যা ঊর্ধ্বতন দপ্তরে জানানো হয়েছে। দ্রুত সমাধান হবে।”

Mid Day Meal cost pressure rises as egg prices spike

আরও পড়ুনঃ ‘মমতা কি করতে পারেন আমি জানি!’ দুই ক্ষতির আশঙ্কা তুলে বিস্ফোরক হুমায়ুন

ডেপুটেশন কর্মসূচিতে এদিন উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ও সহায়িকারা। তাঁদের দাবি, ডিমের বাজারদর অনুযায়ী বরাদ্দ না বাড়লে মিড-ডে মিল (Mid Day Meal) চালানো কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।