বাংলা হান্ট ডেস্ক:মরশুমি ফলের গন্ধে ম ম করছে স্কুলের ক্যাম্পাস। আম্রপালি থেকে দশেরি কি নেই স্কুলে।মরশুমের সমস্ত সুস্বাদু ফল এখন মিড-ডে মিলের থালায়।পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের ধানাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মিড-ডে মিলের(Mid day meal)শেষ পাতে নিত্যদিন মিলছে আম,কাঁঠাল। বিশেষ কোনো দিনের জন্য এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে তা কিন্তু নয়।এই স্কুলের পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের শেষ পাতে মিলছে আম,কাঁঠাল। এই পেয়ে খুশি পড়ুয়ার।

মিড-ডে মিল (Mid day Meal) কেড়েছে নজর
সূত্রের খবর, মানবাজার ১ নম্বর ব্লকে এই বিদ্যালয়টি অবস্থিত। এই বিদ্যালয়টি জেলায় প্রাথমিক শিক্ষায় আলাদাভাবে নজর কেড়েছে। শুধুমাত্র পুরস্কার নয়। বিদ্যালয়ের পরিবেশ, পঠন পাঠন, সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বিশেষভাবে নজর কেড়েছে। সূত্রের খবর, এই স্কুলের ফলের বাগানে হয় আম-কাঁঠাল।ওই স্কুলে আম্রপালি ও দশেরি জাত মিলিয়ে প্রায় ১২ টি আম গাছ রয়েছে , এছাড়া রয়েছে তিনটি কাঁঠাল গাছও।
উল্লেখ্য,মিড-ডে মিলের থালির জন্য বিদ্যালয় নতুন ভাবে নজর কাড়লো সকলের।এই বিষয়ে বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক জানান, “মিড ডে মিলে এই ব্যবস্থাপনা আমাদের ২০১৫ সাল থেকেই চলছে। বর্তমানে কেন্দ্র সরকার ‘পিএম পোষণ প্রকল্পে’ তিথি ভোজনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। অর্থাৎ কোনও বিশেষ দিনে মিড ডে মিলের মেনুতে অন্য কিছু থাকবে। এই তিথি ভোজন রূপায়ণ করার জন্য রাজ্যকে বলা হয়েছে। আমাদের স্কুলের ধারাবাহিকভাবে চলা কাজকে কেন্দ্র সরকার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা শুধু খুশি নয়, গর্বিত।”
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতাদের পাশে ফেক আইডি অফিসার শেখ জিন্না, শুভেন্দুর পোস্টে উঠল ঝড়
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের মিড-ডে মিলের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যাতে পড়ুয়ারা অভুক্ত না থেকে ভরা পেটে পড়াশোনার করতে পারে। আর এই মিড ডে মিলের প্রতি আগ্রহ স্কুলের পড়ুয়াদের পঠন পাঠন কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করছে।