বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শাসকদলের নীচুতলার নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রী আমলাদের নামও জড়িয়ে যাচ্ছে দুর্নীতিতে। এমন আবহে রাজ্য সরকার পাল্টা বাম আমলে নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনছে। সম্প্রতি সিপিআইএম নেতা (CPI(M) Leader) সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এমন অবস্থায় রাজ্য সরকারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করলেন সুজন পত্নী।
সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর বক্তব্য, “কাগজে নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করেছিলাম। তখন লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। ইন্টারভিউ দিয়ে চাকরি পাই। এতে যদি কারোর সুপারিশ থেকে থাকে তাহলে তার নাম প্রকাশ্যে আনা হোক।” সম্প্রতি মিলি চক্রবর্তীকে তার নিয়োগ সম্পর্কিত ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না বাড়িতে। গ্রাজুয়েশন করার আগে টিউশন পড়াতাম। গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে ভর্তি হই বিএডে।”
পাশাপাশি সুজন পত্নীর আরোও সংযোজন, “সেই সময় সকালে চাকরি ও বিকেলে বিএড পড়তাম। এরপর খবরের কাগজে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে আবেদন করি। সেখানে একটি ইন্টারভিউ বোর্ড হয়। তারাই আমার পরীক্ষা নেয়। এরপর আসে জয়েনিং লেটার। যে জয়েনিং লেটার নিয়ে এখন বাজার গরম করা হচ্ছে। পরে আমাকে প্রিন্সিপাল বলেছিলেন, আমি ইন্টারভিউ-এ প্রথম হয়েছিলাম।”
তার বেলা কি কোনও লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল? এর উত্তরে সুজন পত্নীর জবাব, “সেই সময় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ করা হত না। ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন অনেকে মিলে। আমার সাথে আরও অনেকে চাকরি পেয়েছিলেন। ইন্টারভিউ লেটারে আমার নাম মিলি ভট্টাচার্য রয়েছে। আমি যে সময় চাকরি পাই তখন আমার বিয়ে হয়নি। তাহলে কিভাবে সুজন চক্রবর্তীর সাথে আমার নাম যুক্ত করা হচ্ছে? চ্যালেঞ্জ করে আমি বলছি আমায় কে সুপারিশ করেছেন তার নাম বার করুন।”