বাংলাহান্ট ডেস্ক : আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবস। আজকের দিনে গোটা বিশ্ব জুড়ে নারী শক্তির প্রতি জানানো হয় বিশেষ সম্মান। টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী আজকের দিনের একটি বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন। মিমি চক্রবর্তী সম্প্রতি বিদায় জানিয়েছেন রাজনীতিকে। তারপর থেকেই মিমি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এই অবস্থায় মিমি চক্রবর্তী ভাগ করে নিলেন তাঁর উচিত জীবনের কথা। কীভাবে মফস্বলের এক মেয়ে জায়গা করে নিলেন টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতে সেই কথাই তিনি তুলে ধরলেন বারবার। মিমি জানিয়েছেন, দশটা-পাঁচটায় চাকরি, খাওয়া, ঘুম এসব গড়পড়তা জিনিসের প্রতি কোনও দিনই তার আকর্ষণ ছিল না।
আরোও পড়ুন : ৪ বউ ছেড়ে পঞ্চমবার ছাদনাতলায়! ৯২ বছর বয়সে ফের বিয়ে করছেন ধনকুবের
ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখতেন আর পাঁচটা মানুষের থেকে অন্য কিছু করার। মিমি বলছেন, দিদি বরাবরই পড়াশোনায় খুব মনোযোগী। রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতিতে পারদর্শী। আমি সেখানে গায়ের রং কালো করে কাবাডি খেলি, ব্যাডমিন্টনে পুরস্কার পাই। আমার খেলা দেখতে কেউ আসত না। তাদের সব থেকে বড় চিন্তার কারণ ছিলাম আমি। বাড়িতে হাফপ্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াতাম।
আরোও পড়ুন : শিয়ালদা শাখার এই লাইনের যাত্রীদের জন্য বড় সুখবর! বাড়তে চলেছে ট্রেনের গতি
অনেকেই উপযাজক হয়ে বাড়িতে বলতে আসতেন, ‘এভাবে যদি মেয়েকে মানুষ করা হয় তাহলে কোনও দিন বিয়ে হবে না।’ খেলায় প্রথম হওয়া মেডেলগুলো কোথায় হারিয়ে গেছে আমি নিজেও জানিনা। ছোটবেলা থেকে ভাবতাম নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করব যাতে আজ যারা আমাকে অবহেলা করছে, তারা যেন আগামী দিনে আমার জায়গা বুঝতে পারে।
মিমি বলেন, সেই তাগিদ নিয়ে প্রথম কলকাতায় আসা। মাটির নিচের মেট্রোরেল, বড় বড় শপিং মল, বহুতল প্রথমবারের জন্য দেখা। তখনই ভেবে নিয়েছিলাম কলকাতায় থাকব। মা অবশ্য বলেছিলেন, “জলপাইগুড়িতেই রিকশা ভাড়া লাগবে কলেজে যাতায়াতের, সেটা নিয়ে ভাবতে বসেছি।তুই সেখানে বলছিস কলকাতায় গিয়ে পড়াশোনা? অসম্ভব!”
তবে আমার জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছিল তারা। মিমির কথায়, আজ যেখানে পুরুষ ও নারীর সমান অধিকারের কথা বলা হয়, ইন্ডাস্ট্রিতে কিন্তু মহিলা অভিনেত্রীরা অনেকটাই পিছিয়ে। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকেই চায় আমাকে যাতে ক্যাটরিনা কইফের মতো দেখতে লাগে। কিন্তু ক্যাটরিনা কাইফের মতো পারিশ্রমিক দিতে চায়না। কম পয়সা দিলে তো আর মানুষ নিজেকে সেই মতো করতে পারবে না।