বাংলা হান্ট ডেস্ক : লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) আগে গুরুতর অসুস্থ তারকা সাংসদ মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। চিকিৎসার জন্য নায়িকা ছুটেছেন দুবাইতে। মিমির ইনস্টা স্টোরি বলছে, অভিনেত্রী নাকি শিরদাঁড়া/ঘাড় সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন। সেই চিকিৎসার জন্য ‘কাইরোপ্র্যাকটিক’ থেরাপি নিতে দুবাই ছুটেছেন অভিনেত্রী।
এইদিন নিজের ইন্সটাস্টোরি থেকে একটি ‘কাইরোপ্র্যাকটিক’ চিকিৎসার রেজিস্ট্রেশন ফর্মের ছবি পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী। সেই ছবির ক্যাপশনে মিমি লিখেছেন, ‘Intence Cairopractic’। এখন প্রশ্ন হল, কী এই ‘কাইরোপ্র্যাকটিক’ চিকিৎসা? আর নির্বাচনের আগে মিমির হলটাই বা কী?
এখানে বলে রাখা ভালো, ‘কাইরোপ্রাকটিক এডজাষ্টমেন্ট থেরাপি’ রোগ নিরাময়ের এক বিশেষ পদ্ধতি। এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে রোগ নিরাময় করা যায়। স্নায়ুতন্ত্রের ব্যাধি থেকে শুরু করে মেরুদণ্ড, ঘাড়, শরীরের বিভিন্ন পেশী, হাড়, জয়েন্ট এবং সংযোগকারী টিস্যু যেমন তরুণাস্থি, টেন্ডন এবং লিগামেন্ট, স্কেলিটাল সিস্টেমের চিকিৎসা হয় এই পদ্ধতিতে। তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এটি সম্পূর্ণ অস্ত্রপচার বিহীন একটা পদ্ধতি।
আরও পড়ুন : ঘৃণা ছড়ানোর জের! এবার ব্রিটেনে ব্যান হতে চলেছে মুসলিম ধর্মগুরুরা, বিরাট সিদ্ধান্ত ঋষির
এখন এই ‘কাইরোপ্রাকটিক’ চিকিৎসার ফর্মটিই দেখা যাচ্ছে মিমির ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। তারপর থেকেই ভক্তমনে প্রশ্ন, ঠিক কী হয়েছে মিমির? ঠিক কোন রোগের কারণে দুবাইতে ‘কাইরোপ্রাকটিক এডজাষ্টমেন্ট থেরাপি’ করাতে দুবাই পাড়ি দিয়েছেন মিমি? আসন্ন নির্বাচনে কি তবে সত্যিই দেখা যাবেনা তাকে? প্রশ্ন একাধিক।
আরও পড়ুন : দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গে মোদী! শিলিগুড়িতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী, কবে?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই রাজনীতি থেকে সম্পূর্ণরূপে সরে যাওয়ার আভাস দিয়েছিলেন মিমি চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েও দিয়েছেন। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তার মনে হচ্ছে এই রাজনীতির দুনিয়া তার জন্য নয়। জানিয়েছিলেন আপাতত তিনি অভিনয়েই সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করতে চাইছেন। আপাতত তার হাতে কাজও রয়েছে অনেক।
যদিও তৃণমূল সূত্রে খবর, ফের তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) প্রার্থী হচ্ছেন মিমি চক্রবর্তী। যদিও তিনি ঠিক কোন আসন থেকে প্রার্থী দাঁড়াবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সূত্র বলছে, এবার আর যাদবপুর থেকে নয় বরং হুগলি বা জেলার কোনও কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হতে পারে। মূলত জেলার দিকে মিমির স্টারডমকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে বাজিমাত করতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।