বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছোটপর্দা দিয়ে কেরিয়ার শুরু করে এখন টলিউডের ‘মোস্ট ডিমান্ডিং’ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। অথচ অন্য অভিনেত্রীদের তুলনায় তাঁর ছবির পরিমাণ কিছুটা হলেও কম। কোনো এক ধরণের ঘরানা বা চরিত্রে আটকে না থেকে নিজেকে নিয়ে বারবার পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন মিমি। তাই আজ এত জনপ্রিয়তা তাঁর।
মিমিকে শেষ দেখা গিয়েছিল ‘মিনি’ ছবিতে। তাও সে ছবি মুক্তি পাওয়ার পর বেশ কয়েক মাস হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে একটি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে মিমির। ছবির সংখ্যা কম হওয়ায় নিন্দুকরা অবশ্য ছেড়ে কথা বলেন না তাঁকে। কিন্তু তাতে কিছুই যায় আসে না মিমির।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিমি বলেন, নিন্দুকরা তাঁর সংসার চালায় না। তাই কে কী বলল না বলল তাতে তিনি কান দেন না। যতদিন দর্শকরা তাঁকে দেখতে চান ততদিন তিনি এসবে মোটেই পাত্তা দেবেন না। তাঁর কাছের মানুষরা জানে তিনি কতটা পরিশ্রমী। বছরে একটা ছবি করলেও তাতে নিজের সর্বস্ব দিয়ে দেন। আর মিমির মতে, একগুচ্ছ ফ্লপ ছবি দেওয়ার বদলে একটা ভাল ছবি উপহার দেওয়াতেই তিনি বেশি বিশ্বাসী।
মিমির কেরিয়ারও বেশি আকর্ষণীয়। তাঁর ঝুলিতে যেমন বোঝে না সে বোঝে না, বাজি, গ্যাংস্টার এর মতো ছবি আছে, তেমনি রয়েছে পোস্ত, ড্রাকুলা স্যার এর মতো ছবিও। মিমি বলেন, চিত্রনাট্য নিয়ে খুব বেশি চিন্তাভাবনা তিনি করেন না। অনেক সময় পরিচালক পছন্দ হলে দুবার ভাবেন না। আবার অনেক সময়ে চিত্রনাট্য ভাল লাগলেও মন থেকে সাড়া না পেলে পিছিয়ে আসেন।
তবে মিমি একথা স্বীকার করতে পিছপা হননি যে তিনি গল্পের পাশাপাশি পারিশ্রমিকটাও দেখেন। এখন আর পাঁচ লাখ টাকায় তাঁকে কেউ ছবি করাতে পারবে না। তাঁর স্পষ্ট কথা, বাংলা ছবির নায়িকাদের যে পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তাতে অন্তত সংসার চলে না। তাই ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট করতে হয়। পাশাপাশি বলিউডেও পা রাখছেন মিমি।