বাংলাহান্ট ডেস্ক : একাধিক দুর্নীতি, এসএসসি কেলেঙ্কারির ইত্যাদির অভিযোগে জেরবার রাজ্যের শাসক দল। বিভিন্ন বড়সড় দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের একাধিক নেতা মন্ত্রীর। এসএসসির একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রভাব খাটিয়ে নিজের মেয়েকে নিয়োগের অভিযোগে প্রায় প্রত্যহ নিজাম প্যালেসের চক্কর কাটতে হচ্ছে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকে। সিবিআইয়ের হাত থেকে রক্ষা পাননি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দলের জেরার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকেও। সব মিলিয়ে বড়সড় অস্বস্তিতেই বাংলার শাসক শিবির।
এতদিন অবধি এই সমস্ত ইস্যুতে সোচ্চার হতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলগুলিকে। এসএসসি কেলেঙ্কারি মামলাকে হাতিয়ার করে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করে পথে নেমেছে সিপিএম বিজেপি। তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতর পর্বও। রাজনৈতিক কাদাছোঁড়াছুঁড়িকে ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে এবার উল্টোসুর গেয়ে দলের দুর্নীতি নিয়ে এবার সরব হলেন খোস শাসকদলেরই এক মন্ত্রী।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেটিকেই পাখির চোখ করে জেলাস্তরে নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে বীরভূমের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে কর্মী সম্মেলনের আয়োজন করছে তৃণমূল। শনিবার এরকমই এক কর্মী সভায় হাজির হন রাজ্যের মন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহা। সেখানে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের কিছু নেতার পদস্খলন হয়েছে। দু একজন নেতা চুরি করছেন।’
যদিও একথা বলার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা যায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে কোনও ঘটনা সামনে এলে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিক্ষেত্রেই পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যে অপরাধ হলে শাস্তি হয় না। ধর্ষণ করেও দোষীরা শাস্তি পায় না। অন্যায় করেও মন্ত্রীর ছেলেরা ঘুরে বেড়াবে। কিন্তু এখানে তা হয় না।’ সব মিলিয়ে তাঁর এহেন বক্তব্যকে কেন্দ্র করে যে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় তা বলাই বাহুল্য।