ঝাউবনে হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে কিশোরীর দেহ! কোথায় নিরাপত্তা? গোপালপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্য

Published on:

Published on:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিশোরীর দেহ উদ্ধার ঘিরে তোলপাড় পূর্ব মেদিনীপুরের গোপালপুর (Gopalpur)। কাঁথির জুনপুট থানার গোপালপুরে ঝাউবন থেকে এক বছর ১৫-র কিশোরীর হাত পা বাঁধা দেহ উদ্ধার হয়। জানা গিয়েছে, মৃত কিশোরীর নাম অর্চনা পণ্ডিত। দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।

গোপালপুরে (Gopalpur) ঝাউবন থেকে উদ্ধার কিশোরীর দেহ

গোপালপুর (Gopalpur) সমুদ্র সৈকতে ঝাউবনে কিশোরীর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। গলায় ওড়না জড়ানো, হাত পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে ছিল কিশোরীর দেহ। এরপরেই জুনপুট থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় পুলিশ। মৃত কিশোরীকে চেনেন না বলেই জানান স্থানীয়রা। তাতে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা যায়, মৃতা আদৌ ওই এলাকার বাসিন্দা নন।

Minor girl dead body found at gopalpur sea beach

কী পরিচয় মৃতার: পরে পরিচয় মেলে কাঁথি থানার কাঁথি দুই দেশপ্রাণ ব্লকের সরদা গ্রাম পঞ্চায়েতের দূরমুঠ গ্রামে বাড়ি ওই কিশোরীর। জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ওই কিশোরী। তারপর উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। তাঁকে ঝাউবনে (Gopalpur) এনে মারা হয়েছে নাকি অন্য কোথাও মেরে এখানে দেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

আরও পড়ুন : সঞ্চালনাই ‘টার্নিং পয়েন্ট’, অভিনয় যা দেয়নি তা দিয়েছে দিদি নাম্বার ওয়ান! অকপট রচনা

নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন: এদিকে এই ঘটনায় রাজনৈতিক চাপানউতোরও শুরু হয়ে গিয়েছে। পর্যটন এলাকায় দেহ উদ্ধারের ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। রাজ্যের শাসক দলকে কটাক্ষ করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অভিযোগ করেন, ওই এলাকায় সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। পুলিশ শুধু ওখানে টাকা তোলার কাজ করে।

আরও পড়ুন : দেওয়ালে মাথা ঠুকতেন সলমন! অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সম্পর্ক, তাও কেন চুপ ছিলেন ঐশ্বর্য?

পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলেন, চোরাচালান দেখেও পুলিশ উদাসীন। এলাকায় সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য কতটা বেড়েছে এই ঘটনাই তার প্রমাণ। কোস্টাল থানার আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।