সশরীরে হরিদাস পাল! আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সারপ্রাইজ দিলেন মীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক: হরিদাস পাল (Haridas Pal), কথায় কথায় এই ‘কাল্পনিক’ ব্যক্তির প্রসঙ্গ উঠে আসে। এতদিন এই হরিদাস পালের অস্তিত্ব ছিল শুধুমাত্র চলতি কথাতেই। কিন্তু এবার বাস্তবেই তার দেখা পেলেন মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali)। ঢাকা বিমানবন্দরে অদ্ভূত ভাবেই কৌতুকশিল্পীর সামনে উদয় হলেন হরিদাস পাল।

হ্যাঁ, প্রথমটা চমকে গিয়েছিলেন মীরও। যাকে নিয়ে এতদিন কথায়বার্তায় এতবার প্রসঙ্গ উঠে এসেছে তাকে হঠাৎ চোখের সামনে দেখে চমক তো লাগবেই। তবে মুহূর্তটা ক্যামেরাবন্দি করতে বেশি দেরি করেননি মীর। হরিদাস পালের নেমপ্লেটের দিকে বিশেষ করেননি নেটিজেনদের নজর কেড়েছেন তিনি। ২০১৫ সালে তোলা ছবি নতুন করে শেয়ার করেছেন মীর। সঙ্গে হরিদাস পালের ছোট্ট একটা ইতিহাসও লিখে দিয়েছেন তিনি।

FB IMG 1645459111637
মীরের কথায়, ‘কেউ বলেন হরিদাস পাল একটি কাল্পনিক চরিত্র। আবার কারও মতে, উনি রক্তমাংসের মানুষ ছিলেন। যুগের পর যুগ জারি রয়েছে বিতর্ক। জানা যায়, ১৮৭৬ সালে হুগলির রিষড়ার এক গন্ধবণিক পরিবারে হরিদাস পালের জন্ম। পিতা নিতাইচরণ পাল। জন্ম থেকেই সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিল দারিদ্র। সেই কারণে কিশোর বয়সে কাজের সন্ধানে কলকাতায় চলে আসতে হয় হরিদাসকে। শোভাবাজার এলাকার একটি সোনার দোকানে ঝাঁট দিতেন।

একসময় ঋণের ফাঁদে সর্বস্বান্ত হতে বসেছিলেন। কিন্তু রাতারাতি বদলে যায় ভাগ্য। হরিদাস পালকে সুবিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী করে যান নিঃসন্তান মামা। ধনকুবের হয়েই বড়বাজারে পেল্লায় দোকানঘর কিনে ফেলেন হরিদাস। বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে কেনেন প্রাসাদোপম বাড়ি। জায়গা করে নেন কলকাতার ‘বাবু’ সমাজে।

মীর আরো জানান, বিরাট বড়লোক হলেও হরিদাস ছিলেন খুব সৎ। কিন্তু হঠাৎ করেই ‘নেই’ হয়ে গেলেন হরিদাস পাল। কিডনির অসুখে ভুগে ১৯৩৩ সালে যখন তিনি মীর যান তখন তাঁর বয়স ৫৭ বছর। পরবর্তীকালে তাঁকে সম্মান জানাতে কলকাতা পুরসভা বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও মহাত্মা গান্ধী রোড সংযোগকারী কলেজ লেনের নতুন নামকরণ করে হরিদাস পাল স্ট্রিট।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর