বাংলাহান্ট ডেস্ক: তিনি যেমন মিষ্টি মুখে উৎসবের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন, তেমনি দরকার পড়লে কৌতুক মিশিয়ে প্রতিবাদও জানাতে পারেন। মঙ্গলবার ইদ এবং অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে দূর্গামূর্তি সঙ্গে নিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন মীর আফসার আলি (Mir Afsar Ali)। আর বুধবার তাঁর দাবি, তিনি নাকি কানে কম শুনছেন!
আসলে মীরের বাড়ির সামনে এখন যাকে বলে শব্দকল্পদ্রুম অবস্থা! দুই পাড়ার দুই ডিজে নিজেদের প্রতিভা জাহির করতে বড়ই ব্যস্ত। মাঝে পড়ে মীরের অবস্থা, ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচির মতো! বাড়ির ঠিক সামনের বিচিত্র পরিস্থিতির ভিডিও শেয়ার করে কৌতুক শিল্পীর দাবি, তিন দিনের ইদ উৎসব শেষ হলে তিনি সম্পূর্ণ কালা হয়ে যাবেন।
মীরের ভিডিওতে শোনা যাচ্ছে দু রকম গান বাজছে রাস্তায়, তাও আবার একই সঙ্গে। যদিও দুটোর কোনোটিই সঠিক ভাবে বোধগম্য করার উপায় নেই, কারণ তারস্বরে বাজছে বক্স। যেন কার বেশি জোর আছে তা দেখানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
তার মাঝেই ভেসে আসে মীরের গলা। তিনি জানান, এখন তাও দুটো গান চলছে। এর আগে নাকি তিনটি আলাদা আলাদা বক্স থেকে তিনটি আলাদা আলাদা গান বাজানো হচ্ছিল। তাঁর কোনো প্রতিবাদ করার নেই। আসলে এমন অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে তিনি আগে কখনো পড়েননি।
মীরের কথায়, গত ২৪ ঘন্টা ধরে তিনি কানে কম শুনছেন এবং তিনি নিশ্চিত, এমন চলতে থাকলে ইদ শেষে সম্পূর্ণ কালা হয়ে যাবেন। ভিডিওটির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘না না না। ওদের কোনো দোষ নেই। ওরা শুধু একটা মজার গেম খেলছে! আসুন সবার জন্য নিবেদন করি এক অনবদ্য গেম শো যেখানে পাশাপাশি দুটো পাড়ার দুই ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ডিজে’ তাঁদের সঙ্গীত প্রতিভা জাহির করার চেষ্টা করছে।
এই প্রতিযাগিতা শুরু হয়েছে চাঁদ রাত থেকে (২রা মে ২০২২)। এবং এটা গভীর রাতের কয়েক ঘন্টা বাদ দিয়ে বাকি প্রায় পুরো সময়টা জুড়ে চলছে। কেউ কাউকে এক রত্তি জমি ছাড়তে নারাজ। এবং পাড়ার কেউ কোনো প্রতিবাদ করছে না। এমন কি আমিও না।
https://www.facebook.com/Mir.Afsar.Ali/videos/541864570795657/
এই গেম শো জিতবে যে সে পাবে, ১ম পুরস্কারঃ ‘নিজে খেয়ে নিজে মরো’ মার্কা সেঁকো বিষ, ২য় পুরস্কারঃ হিয়ারিং এইড, ৩য় পুরস্কারঃ শহরের সরকারী মনোরোগ হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসা।’ মীরের ভিডিও দেখে হেসে লুটোপুটি খাওয়ার জোগাড় নেটিজেনদের। তবে অনেকেই বলেছেন, সমস্যার কথাটা সত্যিই সুন্দর করে তুলে ধরেছেন মীর।