বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই ভারতের মাটিতে সমাপ্ত হয়েছে বিশ্বকাপের আসর। সেই সময় ভারতের বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে একের পর এক নেতিবাচক খবর তৈরি করে চলেছিল বাংলাদেশের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যম। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলকে অতিরিক্ত সুবিধা করে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে উইকেট প্রস্তুতির অভিযোগ তুলেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ভক্তরা এবং সেই দেশের গণমাধ্যমগুলিও।
কিছুদিন আগে আহমেদাবাদে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য ব্যবহৃত প্রিচের রেটিং দিয়েছিল আইসিসি। এসেছি সেই পিচকে মধ্যম মানের বা এভারেজ রেটিং দিয়েছিল। এমনকি জানা গিয়েছিল যে ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড় খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না ফাইনালের উইকেটটি নিয়ে। এই ব্যাপারটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তরা ভারতীয়দের টিটকারি দিতে ছাড়েনি। কিন্তু তারপর এক মাস সম্পূর্ণ হতে না হতেই একই সমস্যার সামনে পড়তে হলেও বাংলাদেশকেও।
বিশ্বকাপের পরেই দেশের মাটিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট নিয়ে অসন্তুষ্টি জানিয়েছে আইসিসি। আজ পাঠানো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে আইসিসি মিরপুরের উইকেটকে বলেছে ‘অসন্তোষজনক’। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুনের জমা দেয়া রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে মিরপুরের উইকেটের খাতায়।
আরও পড়ুন: বড় ভুল করলেন কোহলি! হাতছাড়া করলেন বাবর আজমকে টপকে শীর্ষে পৌঁছনোর বিরাট সুযোগ
মজার ব্যাপার হল সিরিজের প্রথম টেস্টের ম্যাচে, সিলেটে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু মিরপুরের স্পিন সহায়ক পিচ তাদের কাছে বুমেরাং হয়ে গিয়েছিল। নিউজিল্যান্ড এই কঠিন পিচে বাংলাদেশকে হারিয়ে বড় জয় পেয়েছিল। কিন্তু ম্যাচ জেতার পরেও দলের অধিনায়ক টিম সাউদি জানিয়েছিলেন এটি তার কেরিয়ারে দেখা সবচেয়ে খারাপ পিচগুলির মধ্যে একটি।
আরও পড়ুন: এবার একসাথে ধোনি, কোহলিকে টপকাবেন রোহিত! কিভাবে সম্ভব? উপায় বললেন বিশ্বজয়ী তারকা
এবার ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ায় কিছুটা চিন্তিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। নিয়ম অনুযায়ী ৫ বছরের মধ্যে ৫টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে ১২ মাস কোনও ম্যাচ আয়োজন করতে পারে না সেই নির্দিষ্ট স্টেডিয়াম। ভবিষ্যতে মিরপুরের ‘শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম’কে এই বিষয়টা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।