বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার মামলায় (Cow Smuggling Case) সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই সময় থেকে শ্রীঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছে ‘বীরভূমের বাঘ’র। বাংলা পেরিয়ে বর্তমানে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড়। মেয়ে সহ স্বপরিবারের সেখানেই রয়েছেন কেষ্ট।
ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছে ঠিকই। তবে তা লেখা ইংরেজিতে। অন্যদিকে চার্জশিটের সঙ্গে জমা পড়া ইডি-র তদন্তকারীদের জেরায় জানানো কেষ্টর বয়ান লেখা বাংলায়। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে গরু পাচার কাণ্ডে ইডি-র চার্জশিট দেখতে গিয়ে এমনটাই জানতে পেরেছেন আইনজীবীরা। আর এখানেই ঘোর বিপত্তি।
চার্জশিট ইংরেজিতে আর কেষ্টর বয়ান বাংলায়। এবার বিচারের প্রক্রিয়া কী ভাবে এগোবে সেই নিয়ে জল ঘোলা শুরু হয়েছে। এবার আইনজীবীদের মতে, অনুব্রতের বাংলায় দেওয়া এই বয়ানের তর্জমা করার জন্য আদালতের কাছে আলাদা করে ফের আবেদন জানাতে হবে। প্রসঙ্গত গত ৪ মে অনুব্রতর বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট পেশ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। চার্জশিট অনুযায়ী গরু পাচার থেকে আয়ের প্রায় ১২ কোটি টাকা নগদে কেষ্ট, তার মেয়ে সুকন্যা ও তাদের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর ঠান্ডা হয়েছে আর যাদবপুর কোন ছার! বুটের লাথি মেরে…’, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ
চার্জশিটে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছিল, নিজের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও অর্থের বিষয়ে কেষ্ট জানিয়েছিল জমির দালালি ও চালের ব্যবসা থেকে এই টাকা এসেছে। যদিও কোনও নথি প্রমাণ দেখাতে পারেননি অনুব্রত। অনুব্রতের এই সমস্ত রেকর্ড করা বয়ান, হিসেবনিকেশই বাংলায় লেখা। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ সিবিআই আদালতে সেসবই চার্জশিটের সঙ্গে জমা করেছে ইডি যার অনুবাদ মিলছে না।
আরও পড়ুন: চরম গাফিলতি! এবার কলকাতা হাইকোর্টের রোষের মুখে দুই বিচারক, শোরগোল তুঙ্গে
অনুব্রত যে বাংলা ছাড়া কিছুই বোঝেননা সেকথা নিজেই তিহাড়ে যাওয়ার পর জানিয়েছিলেন তিনি। অফিসারদেরও তা বুঝতে বেশি সময় লাগেনি। এরপরই বাংলা জানা বিশেষ অফিসারকে শুধুমাত্র বয়ান নথিবদ্ধ করার জন্য রাখা হয়। তবে অনুব্রতের আইনজীবীদের কথায় বাংলায় বয়ান নথিবদ্ধ নিয়ম না মেনে তা আদালতে কী করে গ্রাহ্য হল? কারণ সমস্ত নথি পড়ে, বুঝে তা গ্রহণ করতে পারেন বিচারক। এই ইস্যু আদালতেও তুলতে চলেছেন কেষ্টর আইনজীবীরা।
গরু পাচার মামলায় কেষ্টদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়নি এখনও। এরই মধ্যে চার্জ গঠনের গেই অনুব্রতের আইনজীবীরা ফৌজদারি দণ্ডবিধি মেনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশের যাবতীয় নথি, তার রেকর্ড করা বয়ান হাতে পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন বলে জানা গিয়েছে। চাওয়া হবে বাংলায় লেখা বয়ানের তর্জমাও।