বাংলাহান্ট ডেস্ক: পুজোর আগে বাংলা সফরে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। আর এসে ইস্তক একের পর এক ধামাকা করে চলেছেন। অপসারিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বিপুল সম্পত্তি উদ্ধারের ঘটনাকে কটাক্ষ করেছিলেন। এবার বিজেপির তারকা সদস্যের দাবি, তৃণমূলের সবাই চোর নন। যারা ভাল তারা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।
কয়েকদিনের বঙ্গ সফরে এসেছেন মহাতারকা মিঠুন। তিনি রাজ্যে পা রাখার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বালুরঘাটে সার্কিট হাউসে মিঠুনকে থাকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিনেতাও রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণের কোনো সুযোগই ছাড়ছেন না। মঙ্গলবার চুঁচুড়ায় বিজেপির প্রাক পুজো সম্মীলনী বৈঠকে যোগ দিয়ে ফের বিষ্ফোরক দাবি করলেন মিঠুন।
এর আগে মিঠুন বলেছিলেন, ২১ জন তৃণমূল বিধায়ক সরাসরি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। কিন্তু এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ২১ জন নয়, তিনি আসলে ৩৮ জনের কথা বলেছিলেন। কয়েকজন আবার সরাসরি দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক বার বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মিঠুন স্পষ্ট জানান, তিনি যে ২১ জনের কথা বলছেন, তাদের সঙ্গে লেনদেন সংক্রান্ত কোনো কথাই হয়নি। মিঠুনের কথায়, “তৃণমূলের সবাই চোর নন। কিন্তু অনেকেরই দম বন্ধ হয়ে আছে।”
এই তৃণমূল বিধায়কদের জন্য নাকি দলের সঙ্গেও কথা বলেছেন মিঠুন। তৃণমূলের কাউকে নিতে চাইছিল না বিজেপি। কিন্তু মিঠুন বুঝিয়েছেন, তৃণমূলের সবাই চোর নন। তিনি যাদের নাম নিয়েছেন তারা সবাই ভাল। পচা আলু তাঁরা নেবেন না। মিঠুন আরো জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে তিনি জানিয়েছেন। তাঁদের নির্দেশেই মুখ খুলেছেন মহাগুরু। দল চাইলে নাম ধরে ধরে বলবেন।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অবশ্য মিঠুনের বক্তব্যে আমল দিতে নারাজ। তাঁর পালটা দাবি, মিঠুন নিজেই একাধিক কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে রয়েছেন। নিজের পিঠ বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়ে যোগ দিয়েছেন তিনি। বদহজম যাতে তার জন্য হজমি গুলিও পাঠানোর নিদান দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।