বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া টক্কর দিতে নতুন কৌশল নিল বিজেপি। বিজেপি ঘোষণা করে দলের তারকা মুখ মিঠুন চক্রবর্তী। রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভায় গঠন করা হবে ‘মিঠুন যোদ্ধা’ নামে বিশেষ কুইক রেসপন্স টিম। সোমবার সকালে পদাতিক এক্সপ্রেসে মালদায় পৌঁছে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনী সভায় এই বার্তা দেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
ঠিক কী বলেছেন মিঠুন (Mithun Chakraborty)?
মিঠুন (Mithun Chakraborty) এদিন বলেন, প্রতিটি বিধানসভায় ১৫০ জন তরুণ নিয়ে তৈরি হবে এই দল। তাঁদের কাজ হবে বিজেপির কর্মী ও নেতৃত্বকে প্রয়োজনে তৎক্ষণাৎ সহায়তা করা এবং কোনও তৃণমূলী সন্ত্রাস ঘটলে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানানো। “এই লড়াই শেষ লড়াই। ভয় পেলে চলবে না। আমরা লড়ব, জিতব”, দৃপ্ত কণ্ঠে বলেন মিঠুন।
পুরাতন মালদার সাহাপুর এলাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পরই জেলা বিজেপির আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন, “এই টিম হবে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজেপির ঢাল। কোনও হামলা বা ভয় দেখানো হলে সঙ্গে সঙ্গে মিঠুন যোদ্ধারা পথে নামবে।”
এদিন তিনি (Mithun Chakraborty) দলের কর্মীদের জন্য দুটি হেল্পলাইন নম্বরও প্রকাশ করেন, যাতে রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক কোনও সমস্যায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। এই ব্যবস্থা বিজেপি সংগঠনের আইনি সহায়তা ও তৎপরতা বাড়াবে বলে জানান তিনি।
SIR ইস্যুতে তৃণমূলকে কটাক্ষ
বিজয়া সম্মিলনীর বক্তৃতায় এসআইআর (SIR) বিতর্ক নিয়েও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, “এসআইআর-এর বিরোধিতা মানে অভারতীয়দের পক্ষে দাঁড়ানো। নির্বাচন কমিশন তো কোথাও বলেনি, কোনও ভারতীয় মুসলিমের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হবে বা কোনও হিন্দুকে বাদ দেওয়া হবে। তাহলে এই আতঙ্ক কেন?” তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল জানে, মানুষ জেগে উঠছে। তাই ভয় দেখানোই এখন তাদের একমাত্র অস্ত্র। কিন্তু ভয় পাওয়া যাবে না, এবার শেষ লড়াই।”

আরও পড়ুনঃ SIR থেকে নাম বাদ পড়লে হিন্দুদের কী করতে হবে? নন্দীগ্রাম থেকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন শুভেন্দু
প্রসঙ্গত, মালদার সভায় বিজেপি কর্মীদের একাংশ মিঠুন চক্রবর্তীর (Mithun Chakraborty) নেতৃত্বে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। এমনকি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে চাওয়ার দাবিও ওঠে। এই প্রসঙ্গে মিঠুন সোজাসাপটা উত্তর দিয়ে বলেন, “দল যদি চায়, আমি মুখ্যমন্ত্রী হব। দল যাকে বলবে, তিনিই হবেন মুখ্যমন্ত্রী।” উল্লেখ্য, পুরাতন মালদার ওই বেসরকারি হোটেলে অনুষ্ঠিত বিজয়া সম্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিজেপি বিধায়ক, নেতৃত্ব ও শতাধিক কর্মী। মঞ্চে মিঠুনের উপস্থিতিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে সভাস্থল।













