বাংলাহান্ট ডেস্ক: মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun chakrabarty), নামটা টলিউডে যেমন পরিচিত, বলিউডেও (Bollywood) ততটাই জনপ্রিয়। মিঠুনের অভিনয় জগতের যাত্রার শুরুই বলিউডের হাত ধরে। একটা সময় হিন্দি সিনেমার জগতে রীতিমতো রাজ করেছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এক ছবিতে অভিনয় করার জন্য মুখিয়ে থাকত তাবড় তাবড় অভিনেত্রীরা।
কেরিয়ার জীবনে একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল মিঠুনের। তবে তার মধ্যে শ্রীদেবীর (sredevi) সঙ্গে মিঠুনের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা ছিল তুঙ্গে। এমনকি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও শ্রীদেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেতা। একথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন মিঠুন।
একবার একটি সাক্ষাৎকারে মিঠুন নিজেই জানিয়েছিলেন শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা। যোগিতা বালির সঙ্গে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও গোপনে শ্রীদেবীকেও বিয়ে করেছিলেন তিনি। উপরন্তু এই কথা জানতে বাকি ছিল না যোগিতা বালিরও।
জানা যায়, শেষ পর্যন্ত তাঁর জন্যই শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে বাধ্য হন মিঠুন। তিনি অভিনেতাকে হুমকি দিয়েছিলেন যদি এই সম্পর্ক তিনি এগিয়ে নিয়ে যান তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন। সংসার বাঁচাতে মিঠুন বাধ্য হন শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদে।
মিঠুনের জীবনের বহু ঘটনার মতো এটাও অনেকেরই অজানা। কলকাতা থেকে মুম্বই গিয়ে রীতিমতো স্ট্রাগল করে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। টাকা রোজগারের জন্য এক সময় শুটিং সেটে স্পট বয়ের কাজও করেছেন মিঠুন। বয়েছেন অমিতাভ বচ্চন ও রেখার ব্যাগ।
১৯৭৬ এ মৃণাল সেনের ‘মৃগয়া’ ছবির মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী ওরফে মিঠুন। প্রথম ছবিতেই অসাধারন অভিনয় দক্ষতা দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার।
১৯৭৮ এ তাঁর ছবি ‘মেরা রক্ষক’ ফের হিট হয়। অসাধারন নাচ দেখিয়ে ‘ডিস্কো ডান্সার’ ছবিতে সবার মন জিতে নেন মিঠুন। রাশিয়াতেও তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। এই ছবির হাত ধরেই স্টারডমের চূড়ায় পৌঁছান মিঠুন।
এক বছরে সর্বাধিক ছবি মুক্তিরও রেকর্ড রয়েছে মিঠুনের। ১৯৮৯এ ১৯টা ছবি মুক্তি পেয়েছিল তাঁর যার প্রতিটাতেই মিঠুনই ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। কিন্তু ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ক্রমাগত ব্যর্থতার মুখ দেখেছেন তিনি। একসঙ্গে ৩৩টি ছবি ফ্লপ হয়েছিল তাঁর।