বাংলাহান্ট ডেস্ক: গৌরাঙ্গ বলে যে ছেলেটা কলকাতার অলিগলি থেকে মুম্বই মাতিয়ে দিল। ডিস্কো নাচ গানের সঙ্গে পরিচয় করালো দেশবাসীকে, এক সময় সেই ভুগেছে চরম একাকীত্বে। গৌরাঙ্গ থেকে পরে মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) হয়ে উঠেছিল সেই ছেলেটা। তারও পরে ‘ডিস্কো ডান্সার’। পরিশ্রম করতে করতে হঠাৎ করেই স্বপ্নের খ্যাতির নাগাল পেয়ে যাওয়া। কিন্তু স্টারডম আমূল বদলে দিয়েছিল মিঠুনের জীবন।
উপরে উঠতে কে না চায়। কিন্তু একদম চূড়ার স্থানটা যে একাকীত্বে মোড়া, খ্যাতি-যশের আশায় সেটাই ভুলে যায় অনেকে। মিঠুনও উপলব্ধি করেছিলেন, এমন খ্যাতি সম্ভবত তিনি চাননি।এক সাক্ষাৎকারে ‘সুপারস্টার’ হওয়ার ভাল দিকের সঙ্গে খারাপ দিকগুলি নিয়েও মুখ খোলেন বলিউডের ‘দাদা’।
মিঠুন জানান, তিনি কখনো ভাবেননি যে তিনি তারকা হবেন, তাও আবার সুপারস্টার! তাঁর কথায়, “যখন দেশের এক নম্বর তারকা হয়ে উঠেছিলাম আমি, তখন বুঝেছিলাম কী মারাত্মক একাকীত্বে মোড়া জায়গাটা। সম্পূর্ণ একা হয়ে গিয়েছিলাম, খুব একা। কারণ সবাই ভেবেছিল আমি তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছি।”
মিঠুন বলেন, “সবাই বলত, ‘দাদার থেকে দূরে থাকো। ও অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।’ এমনকি আমার বন্ধুরাও আমাকে ভয় পেত। খুব অদ্ভূত লাগত সবকিছু। সকালে ঘুম থেকে উঠে শুটিংয়ে যাওয়া। ফিরে এসে আবার একাকীত্বে ভোগা, এটাই ছিল তখন জীবন। সবথেকে বড় তারকা, দেশের হটেস্ট তারকা হয়েও আমি খুব একা হয়ে গিয়েছিলাম। তবে জীবনের এটাও একটা অংশ।”
কতশত মানুষই না ওই খ্যাতির চূড়াটার লক্ষ্যে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুম্বই ছুটে আসেন। কিন্তু লক্ষ্যের কাছাকাছি পৌঁছেও একসময় ছিটকে যান। তাদের জন্য মিঠুনের পরামর্শ, শুধু ভাল অভিনেতা হলেই হবে না। একজন ভাল মানুষও হতে হবে। তবেই স্টারডম ধরে রাখা সম্ভব। যদি মন থেকেই কেউ ভাল না হয় তবে মুহূর্তে ধ্বংস হয়ে যাবে সমস্ত যশ খ্যাতি। কারণ কর্মফল সবাইকে ভোগ করতে হয়।