বাবার সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না ছেলে! ‘হুনরবাজ’ মঞ্চে মিঠুন বললেন, ‘আমার ছেলে এমন করলে মরেই যেতাম’

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিন্দি রিয়েলিটি শোয়ের (reality show) তালিকায় যোগ হল আরো একটি নাম ‘হুনরবাজ’। কালার্স চ‍্যানেলে সদ‍্য শুরু হওয়া এই শোটিতে উঠে আসবে ভারতবর্ষের নানান রাজ‍্যের নানান প্রতিভা। অন‍্যান‍্য বেশিরভাগ রিয়েলিটি শোয়ের মতো শুধুই নাচ বা গানে থেমে থাকবে না প্রতিযোগীদের প্রতিভা প্রদর্শন। সেরার সেরা প্রতিভাবানদের খোঁজই করবে হুনরবাজ।

শোয়ের বিচারকদের আসনে রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী (mithun chakraborty), করন জোহর, পরিণীতি চোপড়ারা। সম্প্রতি শোয়ের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ‍্যাল মিডিয়ায়। মনোজ নামে এই জাদুকর তাঁর অসাধারন প্রতিভা দেখানোর জন‍্য আসেন হুনরবাজের মঞ্চে। করন জোহর থেকে সঞ্চালক হর্ষ লিম্বাচিয়া, সকলকে তাঁর ঐন্দ্রজালিক ক‍্যারিশ্মায় মুগ্ধ করে দেন তিনি।


স্বয়ং মিঠুন উঠে দাঁড়িয়ে বাহবা দেন মনোজকে। হুনরবাজের মঞ্চে কেন এলেন তিনি? অভিনেতার প্রশ্নের উত্তরে জাদুকর জানান, ছেলের কাছে নিজেকে প্রমাণ করার জন‍্য। পরিবারের কেউ নাকি তাঁর এই পেশা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। সকলেই নীচু চোখে দেখেন তাঁকে। তাদের মতে, এই পেশা বাঁদরনাচের মতো। এমনকি নিজের ছেলেও বাবার সঙ্গে কথা বলে না।

মনোজের করুণ কাহিনি শুনে চোখে জল পরিণীতি, ভারতীর। মিঠুন জিজ্ঞাসা করেন তিনি কি কোনো ভাবে মনোজের ছেলের সঙ্গে কথা বলতে পারেন? কিন্তু ইতস্তত করতে থাকেন জাদুকর। ছেলে যদি খারাপ ব‍্যবহার করে বসে অভিনেতার সঙ্গে। শেশে মিঠুনই আশ্বাস দেন, কটু কথা, খারাপ ব‍্যবহার তিনি অনেক দেখেছেন। তাঁর কোনো সমস‍্যা নেই।


কিন্তু ফোন করা হলেও বাবার ফোন ধরেনি ছেলে। হতবাক হয়ে যান মিঠুন। তিনি স্বীকার করেন যে তাঁর সত‍্যিই খারাপ লেগেছে। অভিনেতার কথায়, “আমার ছেলে যদি এমন ব‍্যবহার করত আমি মরে যেতাম!” অভিনেতা বলেন, নিজে সম্মানের সঙ্গে খেটে যে রোজগার করে সে ঈশ্বরের সমান। মা সন্তানকে ধারন করে ঠিকই, কিন্তু বাবা সারা জীবন ধরে সেই সন্তানকে পালন করেন।

https://www.instagram.com/colorstv/tv/CY9TXBClYsz/?utm_medium=copy_link

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মিঠুন জানান লকডাউনে তাঁদের কতটা আর্থিক দুরবস্থার মধ‍্যে পড়তে হয়েছিল। তিনি জানান, তাঁর পরিবারে তিনিই একমাত্র রোজগেরে সদস‍্য। তাই দীর্ঘ লকডাউনে নিজের সংসার কীভাবে টানবেন সেই চিন্তাটাই সবার আগে তাঁর মাথায় এসেছিল। কিন্তু ওই অবস্থাতেও পরোপকার ভোলেননি মিঠুন। রেস্তোরাঁর কর্মীদের তিনি বলেছিলেন যতটুকুই লাভ হচ্ছে সেটা নিজেদের মধ‍্যে ভাগ করে নিতে। লাভের অংশ তাঁর চাই না।

X