বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলার গর্ব মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। উত্তর কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মুম্বইয়ে গিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন ট্রেন্ড শুরু করেছিল। মহিলা ভক্তদের চোখের মণি হয়ে উঠেছিলেন মিঠুন। কেরিয়ারের মতো তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও কম রঙিন নয়। একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়েছিল সে সময়ে। বিয়ের পিঁড়িতেও বসেছেন দুবার। কিন্তু মিঠুনের জীবনসঙ্গী হিসাবে একজনেরই নাম সর্বত্র লেখা হয়ে রয়েছে। তিনি যোগিতা বালি (Yogita Bali)।
১৯৭৯ সাল থেকে একত্রে দাম্পত্য জীবন কাটাচ্ছেন তাঁরা। বিয়ের ৪০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে তাঁদের। কিন্তু সময় যত এগোচ্ছে, সম্পর্কের বয়স যত পুরনো হচ্ছে, ততই আরো মজবুত হচ্ছে তাঁদের বন্ধন। মিঠুনের সঙ্গে বিয়ের পরেই অভিনয় জগৎকে বিদায় জানিয়েছিলেন যোগিতা। কিন্তু বাড়ির কর্ত্রী যে তিনিই তা বোঝা যায় মিঠুনের কথাতেই।
বহু বছর পর ডান্স বাংলা ডান্সের মহাগুরুর আসনে বসেছেন মিঠুন। আগের মেজাজ ফিরে এসেছে জনপ্রিয় এই নাচের রিয়েলিটি শোয়ের মঞ্চে। উপরন্তু সঞ্চালক অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার সঙ্গে মহাগুরুর খুনসুটি, হাসিঠাট্টা বেশ উপভোগ করছেন দর্শকরা। বয়স, গাম্ভীর্য ভুলে ছোট্ট ছোট্ট প্রতিযোগী থেকে অঙ্কুশের সঙ্গেও দিব্যি হাসিমজায় যোগ দিচ্ছেন মিঠুন।
সম্প্রতি জি বাংলার তরফে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে যেখানে মহাগুরুকে বলতে শোনা যায়, তিনি নিয়মিত স্ত্রীর হাতে মার খান। মিঠুনকে দেখিয়ে এক পুঁচকে প্রতিযোগীকে অঙ্কুশ বলেন, ওই যে লোকটাকে দেখছিস, ও রোজ বউয়ের হাতে মার খায়। সঙ্গে সঙ্গে মিঠুন বলে ওঠেন, আমি গর্বিত যে আমি খাই। কারণ আমি যদি বলি, আমি মার খাই না, এটা যখন টেলিকাস্ট হবে তখন যে ধোলাইটা হবে, সেটা কি তুই খাবি?’
মিঠুনের কথায় হাসির রোল ওঠে সেট জুড়ে। অভিনেতা আরো বলেন, বউয়ের হাতে গর্বিত পুরুষরাই মার খায়। এটা মনে রাখতে পারলেই জীবনে আর কোনো কষ্ট থাকবে না। এরপরেই মিঠুনের স্বীকারোক্তি, সুপারস্টার হওয়ার পরে একবার পাঙ্গা নিতে গিয়েছিলেন স্ত্রীর সঙ্গে। বড় ভুল ছিল সেটা!