বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের দিনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বিখ্যাত অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী। সেদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ওনাকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করা হবে বলেও জল্পনা উঠেছিল। কিন্তু উনি বাংলার ভোটার হলেও ভোটে দাঁড়ান নি। তিনি বাঁকুড়ায় বলেছিলেন, আমি ভোটে দাঁড়ালে স্বার্থপর হয়ে যাব, তাই আমি ভোটে দাঁড়াব না।
বাংলার মহাগুরু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তিনি রাজ্যের একাধিক যায়গা চষে বেরিয়েছেন। করেছেন অজস্র রোড শো। আর মিঠুনের রোড শোয়ে জনতার বাঁধ ভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। মিঠুনের প্রতিটি রোড শোয়ে দেখা গিয়েছে জনপ্লাবন। আর এবার তিনি রোড শো ছেড়ে মঞ্চে উঠে মাইক হাতে নিলেন।
পূর্ব বর্ধমানের রায়না বিধানসভা কেন্দ্রে শনিবার একটি জনসভা ছিল বিজেপির। আর সেখান থেকেই তিনি মাইক হাতে করে তৃণমূল সরকারকে ঝাঁঝাল আক্রমণ করলেন পর্দার MLA ফাটাকেষ্ট। রায়না থেকে মহাগুরু বলেন, ‘কিছু মানুশ চুরি-জোচ্চুরিকেই পেশা বানিয়ে ফেলছে। তৃণমূলের ঝাণ্ডা হাতে নিয়ে টাকা কামানো, মানুষের উপর অত্যাচার করা তাঁদের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার ওদের সবকটার পাখনা কাটব।”
মহাগুরু আরও বলেন, ‘আমি শ্যুটিংয়ের কাজ ছেড়ে বাংলায় পড়ে আছি। আমার একটাই লক্ষ্য, সেটা হল বাংলাকে বদলানো। আর আমি সেটা করেই ছাড়ব। তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলায় আসন পরিবর্তন আনব।” মিঠুন রায়নার মানুষকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘ কোনও ভয় পাবেন না। নিজের ভোট নিজে দিন। ওটা আপনার গণতান্ত্রিক অধিকার। এতদিন ধরে ওই অধিকার কেড়ে নিত তৃণমূলের লোকেরা। এবার আর পারবে না। এবার ওঁরা ছাপ্পাও দিতে পারবে না, ভোটও লুঠ করতে পারবে না। বাংলা থেকে তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত। আপনারা নিজের মতো করে ভোট দিন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুয়ারে রেশ দেওয়া প্রতিশ্রুতিকে কটাক্ষ করে মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, ‘ওদের কথা একদম বিশ্বাস করবেন না। দেখেছেন তো আমফানের সময় কি করেছে? এবার আমফানের, কোরোনার চাল-ত্রাণ চোরেরাই আপনার দুয়ারে চাল পৌঁছানোর আগে চুরি করে নেবে।”