বাংলাহান্ট ডেস্ক : বলিউড মানেই নেপোটিজম (Nepotism)। সব ইন্ডাস্ট্রিতেই কমবেশি স্বজনপোষণ থাকলেও ফিল্মি জগতে তা বড্ড বেশি চোখে পড়ে। একথা সকলেই স্বীকার করবেন। এমন অনেক পরিবারই আছে যারা বংশপরম্পরায় ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন। আবার শাহরুখ খান, আমির খান, সইফ আলি খানদের মতো তারকাদের সন্তানরাও বাবা মায়ের জনপ্রিয়তা সঙ্গে নিয়ে পা রাখছেন অভিনয়ে। তবে মিঠুন চক্রবর্তী এই রাস্তায় হাঁটতে চান না। সম্প্রতি নেপোটিজম (Nepotism) নিয়ে স্পষ্ট বার্তা দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
নেপোটিজম (Nepotism) নিয়ে মুখ খোলেন মিঠুন
নেপোটিজমে (Nepotism) বিশ্বাসী নন মিঠুন। কলকাতার মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসে মুম্বইয়ে দীর্ঘ পরিশ্রমের পর পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন তিনি। সেই পরিশ্রমের ফলও পেয়েছেন মিঠুন। সদ্য দেশের চলচ্চিত্র জগতের সবথেকে সম্মানীয় পুরস্কার দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। মিঠুন চান তাঁর সন্তানেরাও যেন এমন ভাবে নিজের পরিশ্রমেই ইন্ডাস্ট্রিতে জায়গা করে নেন।
আরো পড়ুন : পরবাসে অন্নপূর্ণা উমার হেঁসেল, বার্মিংহামে অপরূপ আয়োজন দুর্গাপুজোর
সন্তানদের জন্য কাউকে বলেন না অভিনেতা
বলিউড কি ‘পারিবারিক শিল্প’? জানতে চাওয়া হয়েছিল মিঠুনের কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, এমনটা তিনি মনে করেন না। তাঁর চার সন্তানই বিনোদন জগতে রয়েছেন। কিন্তু তিনি কখনোই নিজের সন্তানদের জন্য কোনো প্রযোজককে কখনো অনুরোধ করেননি। নেপোটিজম (Nepotism) প্রসঙ্গে মিঠুনের কথায়, কারোর বাবা হিরো হলে ছেলেকেও হিরো হতেই হবে, এর কোনো মানে নেই। তার মধ্যে ট্যালেন্টটাও থাকতে হবে। প্রতিভা যদি না থাকে তাহলে তিনি আসতে পারেন।
আরো পড়ুন : কিংবদন্তি হওয়ার প্রতিভা ছিল, সঠিক মূল্য পাননি শ্রীদেবী-মাধুরী, আক্ষেপ জাভেদের
মিঠুনের মধ্যেও এসেছিল অহংবোধ
নেপোটিজমের (Nepotism) ব্যাপারে মিঠুন আরো বলেন, বাবা আর ছেলে দুজনেই যদি অভিনেতা হন তবে এটা বুঝতে হবে যে ছেলেরও প্রতিভা রয়েছে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পাওয়ার পর মিঠুন বলেছিলেন, প্রথম জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার পর নিজেকে আল পাচিনো ভাবতে শুরু করেছিলেন তিনি। প্রযোজকদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে শুরু করেছিলেন তিনি।
মিঠুনের সেই ভুল ভাঙে যখন একজন প্রযোজক তাঁকে অফিস থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তখন তাঁর ভুল ভেঙেছিল। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে তিনি আল পাচিনো নন। তারপর থেকে আর কখনো মনে অহংকার আসতে দেননি মিঠুন।