বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো শিরোনামে মডেল (Model) মৃত্যুর খবর। বাঁশদ্রোণী এলাকায় মডেল পূজা সরকারের (Puja Sarkar) রহস্যমৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। একটি ফ্ল্যাট থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ওই মডেলের দেহ। শনিবার রাতে উদ্ধার হয় দেহ। আপাতত ময়না তদন্তের জন্য এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে মডেলের দেহ।
বাঁশদ্রোণী থানার উল্টোদিকে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন মডেল পূজা সরকার। সঙ্গে থাকতেন তাঁর এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বেশ অনেকদিন ধরেই দুজনে থাকছিলেন বলে খবর। তবে দুজনের সম্পর্ক কতটা মধুর ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে প্রতিবেশীরা। তাদের দাবি, প্রায়দিনই নাকি পূজার ফ্ল্যাট থেকে চিৎকার চেঁচামেচি, অশান্তির আওয়াজ পাওয়া যেত।
প্রতিবেশীরা জানান, ছয় মাস আগে বাঁশদ্রোণীর ওই ফ্ল্যাটে বন্ধুকে নিয়ে থাকতে আসেন পূজা। প্রায়ই রাত করে বাড়ি ফিরতেন মডেল। কিন্তু কী কারণে দুজনের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হত তা এখনো জানা যায়নি। পুলিস ইতিমধ্যেই তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছে এই ঘটনায়।
সূত্র মারফত খবর, বছর ১৯ এর মৃত মডেল পূজা সরকার আসলে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটার বাসিন্দ। গোবরডাঙা হিন্দু কলেজে পড়েছেন তিনি। কাজের সূত্রে কলকাতায় আসেন তিনি। পুলিসকে পূজার বন্ধু জানিয়েছেন, শনিবার রাতে একসঙ্গেই গল্পগুজব করছিলেন তাঁরা। তখনি পূজাকে তাঁর প্রেমিক ফোন করেন।
ফোন হাতে নিয়ে সেখান থেকে উঠে যান ওই মডেল। ফোনে কথা বলার সময়ে পূজাকে চিৎকার করতে শুনেছেন বলেও দাবি করেছেন তাঁর বন্ধু। তারপর নাকি রাতে অনেকক্ষণ ধরে মদ্যপান করেছিলেন পূজা। থম মেরে বসেওছিলেন কিছুক্ষণ। পরে নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেন। সকালে উঠে ডাকাডাকি করে সাড়া না পাওয়ায় বন্ধুটি নাকি ঘরের জানলা দিয়ে পূজাকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলতে দেখেন।
তিনিই মডেলের মৃত্যুর খবর প্রথম জানান বাঁশদ্রোণী থানায়। পুলিস এসে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে পূজা আদৌ আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ রয়েছে তা জানা যাবে ময়না তদন্তের রিপোর্টে।