বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে বিপুল কর্মসংস্থান তৈরি যে এখন একমাত্র লক্ষ্য শাসক দল তৃণমূলের, তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তা কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মমতা। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই একাধিক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়েছে রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ডেটা সেন্টারের জন্য রাজ্যে জমি নিয়েছে জিও, এয়ারটেল, ইনফোসিসের মতো সংস্থাগুলি। এবার রাজ্যে মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বড় উদ্যোগ নিতে চলেছে নবান্ন।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্সের এক মিটিংয়ে রাজ্য তরফে এও বার্তা দেওয়া হয়েছে যে প্রয়োজনে একটি আমেরিকা সফরও করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সূত্রের খবর অনুযায়ী চেম্বার অব কমার্সের এই বার্ষিক সভায় যথেষ্ট গুরুত্ব পেয়েছে রাজ্য। বৈঠকে উপস্থিত অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন। রাজ্যের দাবি, মমতা আমলে মার্কিন বিনিয়োগ অনেকটাই বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজ্যে বিদেশি বিনিয়োগ প্রায় ৬০.৮০ কোটি ডলার যা ২০১০-১১ অর্থবর্ষে ছিল ৯.৫ কোটি ডলার। এই বিনিয়োগ এখন আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন মমতা ব্যানার্জি।
রাজ্যের এক শীর্ষকর্তার দাবি, “রাজ্যে শিল্প এবং তথ্যপ্রযুক্তিতে নতুন লগ্নি এবং চালু সংস্থা সম্প্রসারণে উৎসাহ দেওয়াই মুখ্যমন্ত্রীর সফরের লক্ষ্য হতে পারে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংবাদ সংস্থা এনআইএর খবর অনুযায়ী, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি মাসে আমেরিকা সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সম্ভবত এ মাসের শেষের দিকে অর্থাৎ ২৩, ২৪ সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রধানমন্ত্রী এই মার্কিন সফরে যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ওয়াশিংটন থেকে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার অধিবেশনে শামিল হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।
খবর অনুযায়ী, এই সফরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সঙ্গে একাধিক বিষয়ে আলোচনা হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর। তার মধ্যে একটি বিষয় অবশ্যই আফগানিস্তান ও তালিবানের উত্থান। বিশেষত চীনকে ঘিরে ফেলতে আমেরিকা, ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া কোয়াড বা চতুর্দেশীয় অক্ষ তৈরি করেছে, তা নিয়েও এখন প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে। কারণ আফগানিস্তানে ক্রমশ নিজেদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছে চীন এবং রাশিয়া। এদিকে তালিবান ক্ষমতায় আসার পর জম্মু কাশ্মীর নিয়েও ভারতের চিন্তা বেড়েছে। সেইসমস্ত বিষয়ই আলোচিত হতে পারে এই বৈঠকে। যদিও এ বিষয়ে এখনও কোন আধিকারিক বার্তা আসেনি।