বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ আচমকাই বাংলায় (West Bengal) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) পদার্পণ। বিহারে নির্বাচনী জনসভায় যাওয়ার আগে বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমেছিলেন তিনি। ওনাকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক, জন বরলা এবং জয়ন্ত রায়।
আজ বিহারের বিহারের অরারিয়া ও সহরসায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দুটি জনসভা ছিল। আর সেই কারণে তিনি বিমানে করে বাগডোগরা বিমান বন্দরে নামেন। এবং সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।বিজেপির সাংসদেরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে সাক্ষাৎ করে ওনাকে বলেন, বাংলায় জঙ্গলরাজ চলছে। আপনি বাংলায় আসুন। বাংলাকে বাঁচান।
জানিয়ে দিই, অমিত শাহ আগামী ৫ ই নভেম্বর বাংলার সফরে আসছেন। তিনি দুদিনের জন্য বাংলায় থাকবেন এবং বঙ্গ বিজেপির নেতাদের সাথে কথা বলবেন। তাঁর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিছুক্ষণের জন্য বাংলা থেকে ঘুরে গেলেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাগডোগরা এয়ারপোর্টে নামার পর একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ভাইরাল হচ্ছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কোচবিহারের বিজেপির সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে ঘুসি মারছেন। নিশীথ প্রামাণিক যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পা ধরে নমস্কার করছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী ওনাকে ঘুসি মারেন।
তবে এই ঘুসি সেই ঘুসি ছিল না। আদর করেই পিঠ চাপড়ানোর মতো নিশীথ প্রামাণিককে ঘুসি মেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সাথে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা একজন বাবা যেমন তাঁর ছেলেকে স্নেহ করে আদর করেন, তেমনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমাকেও স্নেহ করে আদর করেছেন। ওনার কাছে আমি সন্তানের মতই। তাই আমাকে দেখে তিনি নিজেকে আর কন্ট্রোল না করতে পেরে এরকম ভাবে পিঠ চাপড়ে দেন।
নিশীথ জানান, আসলে উনি সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাই মাঝে সাঝে একটু মজা করতেও মন চায় ওনার। উনি প্রধানমন্ত্রী হলেও একজন মানুষ। আর সেই কারণেই উনি এই কাজ করেছেন। ওনার আজকের এই কাজ আমি আজীবন মনে রাখব। আমার মনে হয়না উনি এমন ভাবে কারোর সাথে স্নেহ করেছেন।
বলে দিই, আজকের এই ঘটনা নিয়ে সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক বেশ আপ্লুত। কারণ একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে এরকম স্নেহ সবাই আশা করলেও, হাতেগোনা কিছু মানুষই পান।