বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার শহরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসার কারণে সকাল থেকে বিভিন্ন মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে মোদির সঙ্গে মমতার সাক্ষাত্ নিয়ে বাম-কংগ্রেসের মধ্যে আরও উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। বৈঠকের পরেই সমালোচনার ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে। বিতর্ক থামাতে রাজভবনেই সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করলেন তিনি। শনিবার মোদি-মমতা বৈঠক নিয়ে নানান মন্তব্যের মধ্যে এ কথা স্পষ্ট করে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুরের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যে বৈঠক করেন মমতা, সেখানে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে আপত্তি জানান তিনি। কিন্তু সে প্রসঙ্গকে একরকম কায়দা করে এড়িয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জানালেন, সিএএ নিয়ে আলোচনা এখানে নয়, দিল্লিতে হবে।
১৫ মিনিটের বৈঠকে রাজ্যের বকেয়া পাওনা নিয়ে এদিন মোদির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে মমতা। এ রাজ্যে ২৮ হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। প্রতি বছর ৫৪ হাজার কোটি টাকা শোধ করতে হয়। বুলবুলের জন্য ৭ হাজার কোটি টাকা বাকি রয়েছে, এ গুলো বাংলার প্রাপ্য। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেছেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে তা জানানো হবে।
বৈঠকে শেষে সিএএ-র প্রতিবাদে ধর্মতলায় রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে ধরনামঞ্চে পৌঁছে যান তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিকে মোদির সঙ্গে মমতার বৈঠককে রীতিমতো কটাক্ষ করে বাম-কংগ্রেস। বাম নেতা মহম্মদ সেলিম এই সাক্ষাতকে যাত্রার সঙ্গে তুলনা করেছেন। সেই কটাক্ষের পাল্টা জবাব দেন মমতা। কোনও রাজ্য প্রধানমন্ত্রী আসলে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করাটা সাংবিধানিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। সেই দায়িত্ব পালন করতেই এই বৈঠক হয়েছে।