বাংলাহান্ট ডেস্ক : জাপানে অনুষ্ঠিত হওয়া কোয়াড সম্মেলনে সোমবার ভারত প্রশান্ত মহাসাগর আর্থিক ফ্রেমওয়ার্ক বা আইপিইএফ গঠন করার কথা ঘোষণা করা হয়। মোট ১৩ টি দেশ নিয়ে গঠিত হবে এই প্রতিষ্ঠান। এই ফ্রেমওয়ার্কে ভারত, আমেরিকা, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ব্রুনই, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনাম-এর মতো ভারত মহাসাগরের পার্শবর্তী দেশগুলি অংশ নেবে।
কোয়াড সামিটে যোগ দিতে সোমবার টোকিও পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জাপান সফরে একাধিক বৈঠক ও কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। ২৩ এবং ২৪ মে টোকিওতে কোয়াড কনফারেন্সে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, জাপানে মোট ৪০ ঘণ্টা থাকবেন এবং ২৩টি বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।
দুই দিনের জাপান সফরে, প্রধানমন্ত্রী মোদি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং অস্ট্রেলিয়ার নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। সোমবার ভোরে জাপানে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। জাপানের মাটিতে পা দিয়েই জাপানি ভাষায় ট্যুইটও করেন। সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘টোকিওতে অবতরণ করেছি। এই সফরে কোয়াড সামিট, সহকর্মী কোয়াড নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সাক্ষাত, জাপানি ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেব আমি।’
জানা যাচ্ছে, কোয়াড কনফারেন্সে ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলির জলবায়ু পর্যবেক্ষণ, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি ডি-কার্বনাইজড গ্রিন শিপিং নেটওয়ার্ক তৈরি করার বিষয়েও আলোচনা হবে। ২৪ মে টোকিওতে অনুষ্ঠিত হতে চলা শীর্ষ সম্মেলনে, কোয়াড নেতারা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগগুলির সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা হবে। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হবে এই সম্মেলনে।
সোমবার কোয়াড সম্মেলনে ঘোষণা করা হয় আইপিইএফ গঠনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো, ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলির মধ্যে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক রক্ষা করা। ১৩ টি দেশ নিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী কালে আরও প্রধান দেশগুলিকে আইপিএফ-র আওতায় এনে একটি বড় আর্থিক সংগঠন তৈরি করা হবে। সাম্প্রতিক কালে করোনা মহামারি ও ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলায় সৃষ্টি হওয়া সমস্যাগুলিকে নিয়ে আলোচনা হবে এই সংগঠনে। এছাড়া, সাম্প্রতিক কালের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যা যেমন মূল্যবৃদ্ধি, চিনের উপর অত্যাধিক নির্ভরতা, ডিজিটালাইজেশনের মতো বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা হবে আইপিএফে।