বাংলাহান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে দ্বিতীয় দফায় ৪টি জেলায় মোট ৩০ টি আসনে ভোট গ্রহণ চলছে। একাধিক জায়গা থেকে উঠে আসছে রাজনৈতিক হিংসার খবর। সকাল থেকেই নিজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ার ভাড়াবাড়িতে ঘরবন্দী ছিলেন মমতা। তবে দুপুরে ভোটগ্রহণ পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে বেরিয়ে পড়েন তিনি। হুইল চেয়ারে করে বয়ালের (Boyal) স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকেই নির্বাচনে (WB Assembly Election) অশান্তি ছড়ানোর জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করেন তিনি।
তিনি জানান, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই হিন্দিভাষী গুণ্ডাদের দিয়ে নির্বাচনে অশান্ত লাগানোর চেষ্টা চলছে’। এমনকি বয়ালে বুথের মধ্যে বসেই এবিষয়ে রাজ্যপাল ধনকড়কে ফোন করেন। পাশাপাশি আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বয়ালে মমতা আরও অভিযোগ করেন যে, ‘৮০ শতাংশ ভোট ছাপ্পা পড়েছে’। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই দক্ষিণ ২৪ পরগানার জয়নগরে জনসভা করেন মোদী (Modi’s Election Campaign)। সেখান থেকে রীতিমত আত্মবিশ্বাসী মোদী দাবি করণ, ‘বাংলায় কমপক্ষে ২০০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি।’
এদিন মমতাকে (Mamata Banerjee) টিপ্পনি কেটে মোদী বলেন, ‘কেউ যদি ভোটের অপিনিয়ন পোল বা এক্সিট পোল জানতে চান, তাহলে তাঁকে বেশি পরিশ্রম করতে হবে না, দিদিকে দেখুন তাহলে সব বুঝে যাবেন। ওনার চোখ মুখের হাবভাব দেখে তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে চলে গেলেন তিনি, সেখানে গিয়ে বুঝতে পারছেন ভুল করেছেন।’
এদিন জনসভা থেকে মোদী (Narendra Modi) আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রীতিমত ঘাবড়ে গিয়েছেন, তাই তো তিনি ৩ দিন ধরে একটি কেন্দ্রেই পড়ে আছেন। আর তিনি যে ঘাবড়ে গিয়েছেন, এটাই বাংলার ভোটে চর্চিত বিষয়। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী এদিন নির্বাচনে অশান্তি নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি বলেন , মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাবড়ে গিয়েছেন বলে গালমন্দ করছেন এবং কমিশনের বিরুদ্ধে দোষারোপ করছেন।