বিলুপ্ত হচ্ছে কলা ও বিজ্ঞান বিভাগের তফাৎ, ছাত্র ছাত্রীরা নিতে পারবে পছন্দমতো বিষয়

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শিক্ষার জগতে প্রত্যেকটি বিষয় প্রত্যেকটির পরিপূরক বলে মনে করা হয়। যদিও কলা বিভাগ ও বিজ্ঞান বিভাগের মধ্যে ভেদাভেদ ভারতে বহু দিন থেকে চলে আসছে। অবশ্য এখন এই ভেদভেদ মুছে যেতে চলেছে। ভারতের শিক্ষা ব্যাবস্থায় নতুন নীতিকে মঞ্জুরী দিয়েছে মোদী সরকার।

বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারে যেমনটা বলা হয়েছিল তেমনই আমূল বদলে দেওয়া হল দেশের শিক্ষা ব্যাবস্থা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়নের নাম বদলে হয়ে গেল শিক্ষা মন্ত্রক। সেই সাথে রইল না কল বিভাগ ও বিজ্ঞান বিভাগের বহুদিন থেকে চলে আসা পার্থক্য। এবার থেকে ছাত্র ছাত্রীরা নিজের ইচ্ছামতো বিষয় নিতে পারবে বলে জানা যাচ্ছে। ছাত্র ছাত্রীরা যে কোনো বিভাগের যে কোনো বিষয় নেওয়ার অধিকার পাবে বলে জানানো হয়েছে।

IMG 20200729 231859

 

শুধু এই নয়, দশম ও দ্বাদশের বোর্ডের পরীক্ষা হবে না বলেও খবর মিলছে। ১০+২ এর পরিবর্তে এবার আসছে ৫+৩+৩+৪ পদ্ধতি।প্রাক প্রাথমিককেও আনা হচ্ছে স্কুলের আওতায়। দ্বিতীয় শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষাকে বলা হবে ফাউন্ডেশন কোর্স।

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত একটি স্টেজ (সেকেন্ডারি স্টেজ) হিসাবে ঘোষিত হওয়ার ফলে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা আর নেওয়া হবে না৷ এই ৪ বছরে ৪০টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে সেমেস্টার সিস্টেমে। বোর্ড ও স্কুল উভয়েই পরীক্ষা নেবে।

PicsArt 07 29 08.17.43

পড়ুয়ারা বেছে নিতে পারবে পছন্দের বিষয়। তবে এক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষার সুবিধার কথা মাথায় রাখতে হবে। গবেষণার ক্ষেত্রে কোর্সের সময়সীমা ৪ বছরের। এমফিল করতে হবে না। আন্ডার গ্রাজুয়েট বা স্নাতক স্তরে প্রতি বছরেই মিলবে সার্টিফিকেট। ২ বছর সম্পূর্ণ হলেভ দেওয়া হবে ডিপ্লোমা। ৩ ও ৪ বছরের পর দেওয়া হবে গ্রাজুয়েট সার্টিফিকেট।


সম্পর্কিত খবর