বাংলা হান্ট ডেস্ক:ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। আর তা বুঝতে পেরে অনেকে ধূমপান থেকে মুক্তির জন্য ব্যবহার করত ই সিগারেট। কিন্তু এতে ধূমপানের প্রবণতা কমতো তো নাই বরং উল্টে ধূমপান বেড়ে আরো নেশায় আসক্ত হয়ে উঠছিল মানুষ।এই কারণের ব্রাজিল, উরুগুয়ে, সিঙ্গাপুর বা শ্রীলঙ্কার মতো দেশে নিষিদ্ধ ছিলো এই ই সিগারেট। মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এলে ১০০ দিনের মধ্যেই ই সিগারেট, ই নিকোটিনের মতো জিনিসে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল বিজেপি। বুধবার এই দেশেও ই সিগারেট নিষিদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাঁর মতে, “তামাক বিরোধিতার পদক্ষেপ হিসাবে ই সিগারেট বড় মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।” তার আশঙ্কা যে শিশুদের মধ্যেও নেশা ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে ।ই সিগারেট নিষিদ্ধ করা নিয়ে যে মন্ত্রিগোষ্ঠী গঠন করেছিল মোদী সরকার, তারই প্রধান নির্মলা সীতারামন। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে সীতারমন বলেন, ‘‘এর অর্থ উৎপাদন, আমদানি, রফতানি, পরিবহণ, বিক্রি, বণ্টন, মজুত করা ও বিজ্ঞাপন, ই সিগারেট সংক্রান্ত সব কিছুই নিষিদ্ধ হচ্ছে।’’ তিনি আরো বলেন, ধূমপানের নেশা থেকে মুক্তির জন্যই ই সিগারেট ব্যবহার করা হত। কিন্তু, বহু মানুষই সে ভাবে এটাকে ব্যবহার করছে না উল্টে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রিপোর্ট বলছে, কিছু মানুষের মধ্যে এই বদভ্যাস ঢুকেছে এবং মনে হচ্ছে যেন কিছুই হয়নি। ভারতের বাজারে ই সিগারেটের ৪০০ ব্র্যান্ড রয়েছে এবং তার ১৫০ রকম স্বাদও রয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নির্দেশ অনুসারে ওই মন্ত্রিগোষ্ঠী ই সিগারেট নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্স খতিয়ে দেখছে যার অর্ডিন্যান্সের খসড়া অনুযায়ী, ই সিগারেট সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রথম বার লঙ্ঘন করলে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হতে পারে। তার পরেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য হলে তিন বছর কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা পর্যন্ত করার সংস্থান রাখা হয়েছে ওই খসড়ায়।
বিজেপি শিবিরের অধীনে থাকা ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন এর অনেক দিনের দাবি ভারতে ই সিগারেট ও অন্যান্য ধরনের ধূমপানের ইলেকট্রনিক যন্ত্র নিষিদ্ধ করা। কেননা ই সিগারেট ভারতীয় তামাক চাষীদের ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ তাদের। তবে ইলেকট্রনিক সিগারেট নিষেধাজ্ঞার ফলে বার্ষিক দু’হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।