বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা কালে একদিকে যেমন রীতিমতো ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। অন্যদিকে তেমনই চিকিৎসার খরচ যোগাতে গিয়ে নাজেহাল সকলে। এরইমধ্যে জীবন বীমার কভারেজ নিয়েও যথেষ্ট চিন্তার অবকাশ তৈরি হয়েছে। তবে এবার চাকরিজীবীদের জন্য বড় সুবিধা দিল কেন্দ্র সরকার। ইপিএফওর অন্তর্ভুক্ত সকল গ্রাহকই ইডিএলআই বা এমপ্লয়ি ডিপোজিট লিংকড ইন্সিওরেন্স, ১৯৭৬ এর মাধ্যমে বীমা কভারেজ পেয়ে থাকেন। এবার এই বীমা কভারেজকেই ৬ লাখ থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা করলো মোদি সরকার। গত মাসেই এ সম্পর্কে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গঙ্গোয়ার।
২০২০ সালে ৯ সেপ্টেম্বর প্যানডেমিকের কথা মাথায় রেখে ইডিএলআই নামক এই বীমার কভারেজ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ট্রাস্টি বোর্ড। ২৮ শে এপ্রিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক এ বিষয়ে সম্মতি দেয়। যার জেরে এখন সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকা অবধি বীমা কভারেজ পাবেন গ্রাহকরা।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোন কর্মচারী দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু, অসুস্থতাজনিত মৃত্যু বা প্রাকৃতিক মৃত্যু হলেও এই স্কিমের সুবিধা পাবেন তার পরিবারের আত্মীয়-স্বজন। এই বীমা কভারেজের মধ্যে রয়েছেন বাবা-মা, স্ত্রী, নাবালক পুত্র এবং অবিবাহিত কন্যা। কোনও কর্মী যদি একাধিক প্রতিষ্ঠানে মৃত্যুর আগের এক বছর কাজ করে থাকেন সেক্ষেত্রেও এই বীমার কভারেজ পেতে কোন অসুবিধা হবে না তার পরিবারের।
ইএলডিআই স্কিমে বীমা কভারেজের টাকার পরিমাণ মূলত শেষ বারো মাসে প্রাপ্ত মূল মাসিক বেতন এবং ডি-এ’র উপর নির্ভর করে। তবে এর সর্বোচ্চ পরিমাণ হল ৭ লক্ষ টাকা। করোনাভাইরাসের প্যানডেমিকের কারণে জরুরী পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত সরকারি চাকরিরত বহু মানুষকেই হারিয়েছে ভারত। মৃত্যুর কোন ক্ষতিপূরণ হয়না, কিন্তু অন্তত একটি স্কিমের কারণে আর্থিক দুর্দশা থেকে কিছুটা মুক্তি পাবেন তারা।i