Bangla Hunt Desk: মোদী (Narendra modi) সরকার এবার হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করছে, এমন অভিযোগ এনেছেন খোদ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul gandhi)। তাঁর দাবী, প্রথমে ফেসবুক এবং বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপকে সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ করছে মোদী সরকার। সর্বদা কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সওয়াল করতে গিয়ে এবার এই গুরুতর অভিযোগ করে বসলেন রাহুল গান্ধী।
প্রকাশিত প্রতিবেদন
এই সমস্যার সূত্রপাত হয় মার্কিন সংবাদসংস্থা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন থেকে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে ‘বিদ্বেষ রোধ আইন’ প্রয়োগ করা যাবে না। এই কাজ করলে ‘ভারতে ফেসবুকের ব্যবসায় ক্ষতি’ হবে নিজদের কর্মচারীদের সতর্ক করেছিলেন সংস্থার এগজিকিউটিভ আঁখি দাস।
মার্ক জুকেরবার্গকে দিলেন চিঠিও
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউণ্ট থেকে নিজের মন্তব্য পোস্টও করেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে এটা প্রথম বার নয়, এই নিয়ে দ্বিতীয় বার তিনি ফেসবুক ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে তদন্তের আর্জি জানালেন। সেইসঙ্গে কংগ্রেসের সাধারণ সচিব কে সি ভেনুগোপাল এক চিঠি লিখলেন ফেসবুক CEO মার্ক জুকেরবার্গকে।
America's Time magazine exposes WhatsApp-BJP nexus:
Used by 40 Cr Indians, WhatsApp also wants to be used for making payments for which Modi Govt's approval is needed.
Thus, BJP has a hold over WhatsApp.https://t.co/ahkBD2o1WI
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) August 29, 2020
ভারতে আর্থিক লেনদেন চালু করতে চাইছেন জুকেরবার্গ!
এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই ভারতে রাজনৈতিক ঝড় উঠতে শুরু করে। একের পর এক প্রশ্নবান ছুটে আসতে থাকে বিজেপির দিকে। এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই কংগ্রেসের সাধারণ সচিব কে সি ভেনুগোপাল চিঠিতে লিখেন, ফেসবুক CEO মার্ক জুকেরবার্গ এবার হোয়াটসঅ্যাপের মধ্য দিয়ে ভারতে আর্থিক লেনদেন চালু করতে চাইছেন। সেই কারণেই বিজেপিকে হাতে রাখতে, তাদেরকেই হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।