বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার মোদী সরকার সেই LAC (Line of Actual Control)-র কাছে একটি বড় কাজ করতে চলেছে যেখানে কয়েক বছর ধরে ভারতীয় এবং চিনা সেনাদের মধ্যে বিরোধ চলছে। মূলত, ভারত (India) এবার LAC-তে এমন একটি কাজ করছে যেটি নিশ্চিতভাবে চিনের (China) চিন্তা বাড়াবে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার LAC-র খুব কাছে লাদাখের নুব্রা এলাকায় থয়েস এয়ারবেসে একটি নতুন সিভিল টার্মিনাল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে LAC-র কাছে ওই এলাকায় ভারতীয় সেনা এবং চিনা সেনাদের মধ্যে উত্তেজনার আবহ বজায় রয়েছে। মূলত, থয়েস হল একটি সামরিক বিমানঘাঁটি। যার রানওয়ে বিশেষ রূপে সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করে। এদিকে, UDAN প্রকল্পের অধীনে লে থেকে কিছু অসামরিক ফ্লাইট দেখা গেছে। এমন পরিস্থিতিতে শীঘ্রই থোয়েস থেকে আরও যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার। সরকার লাদাখের থোয়েসে একটি নতুন সমন্বিত যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করতে চলেছে। যার জন্য শনিবার দর আহ্বান করা হয়েছিল।
এইভাবে এটি লাদাখের দ্বিতীয় অসামরিক বিমানবন্দর হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, এর নির্মাণ একটি বড় বার্তাও দেবে। ভারত এটা প্রমাণ করবে যে তারা দেশের প্রত্যন্ত কোণে, বিশেষ করে LAC-র কাছাকাছি নাগরিকদের জন্য বিমান যোগাযোগের সুবিধা নিয়ে আসছে। বলা হচ্ছে এই পুরো প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। রিপোর্টা অনুযায়ী থোয়েসে ৫,৩০০ বর্গ মিটার এলাকা সহ একটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যাত্রী টার্মিনাল বিল্ডিং নির্মিত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগেই মোদীর মাস্টারস্ট্রোক! দেশের ৬.৫ কোটি মানুষকে দুর্দান্ত উপহার দিল কেন্দ্র
স্থানীয় স্থাপত্য, সংস্কৃতি, শিল্প ও ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে এই ডোমেস্টিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনটির নির্মাণ নকশা করা হবে আকর্ষণীয় পদ্ধতিতে। পাশাপাশি, আধুনিক কাঠামো মেনে এই ভবনটি নির্মাণ করা হবে। এর অভ্যন্তরের দিকেও বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে। তথ্য অনুসারে, জনসংখ্যা, ভ্রমণের উদ্দেশ্য, ব্যয়, পছন্দ, পেশা এবং আয় গোষ্ঠীর পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দরের ক্যাচমেন্ট এলাকা এবং যাত্রীর প্রোফাইল মূল্যায়নের জন্য একটি বিশদ যাত্রী সার্ভেও পরিচালিত হবে।
আরও পড়ুন: মোদী ম্যাজিক! প্রধানমন্ত্রী শুধু নাম ধরতেই তুঙ্গে LIC-র শেয়ার, নজির গড়ল জীবন বিমা নিগম
উল্লেখ্য যে, ইতিমধ্যেই এইজন্য সরকার জমি অনুমোদন করেছে, যার ওপর সিভিল ফ্লাইটের জন্য টার্মিনাল এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামো নির্মাণ করা হবে। উল্লেখ্য যে, স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে থয়েসে একটি সিভিল বিমানবন্দরের জন্য স্থানীয় জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। নতুন টার্মিনাল ভবনে সিভিল এনক্লেভে গমন ও আগমন এলাকা, সিকিউরিটি হোল্ড এলাকাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলা হবে। লাদাখের সাংসদ জামিয়াং সেরিং নামগিয়াল দীর্ঘদিন ধরে থয়েসে এই বিমানবন্দরের জন্য জোর দিচ্ছেন এবং বিমান সংস্থার প্রধানদের সাথে দেখা করছেন। পাশাপাশি, থয়েসে ফ্লাইট চালু করার জন্য তাদের অনুরোধও করেন তিনি।