বাংলা হান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত রাজ্য সরকারের পরামর্শ কেন্দ্র সরকার দেশে ৩রা মে পর্যন্ত লকডাউন (Lockdown) বাড়িয়েছে। এরপর বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Home Ministry) নতুন দিশা নির্দেশ জারি করেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, সমস্ত রকমের পরিবহণ সেবা আপাতত বন্ধ থাকবে। রাজ্যের সীমান্ত সিল থাকবে। যদিও, প্রয়োজনীয় সেবার জন্য বাড়ির বাইরে যাওয়ার অনুমতি জারি থাকবে। এছাড়াও কৃষি ক্ষেত্রের সাথে যুক্ত কাছে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
দিশা নির্দেশ অনুযায়ী, মানুষ বাস, মেট্রো, বিমান, ট্রেনের মাধ্যমে সফর করতে পারবে না। স্কুল, কলেজ, কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। বাইরে বের হওয়ার সময় মুখ ঢাকা অনিবার্য থাকবে। সার্বজনীন স্থানে থুতু ফেললে জরিমানা হবে। সিনেমা হল, মল, শপিং কমপ্লেক্স, জিম, খেলার মাঠ, সুইমিং পুল এবং বার ৩রা মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। মানুষের অন্তঃ রাজ্য, অন্তঃ জেলার মধ্যে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
সমস্ত সামাজিক, রাজনৈতিক, খেলা, ধার্মিক সমারোহ, ধার্মিক স্থল, প্রার্থনা স্থল ৩রা মে পর্যন্ত জনতার জন্য বন্ধ থাকবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার দেশের নামে নিজের ভাষণে বলেন, ২০ এপ্রিল পর্যন্ত কড়া ভাবে পালিত হবে লকডাউন। এরপর যেসব এলাকা হটস্পট হবে না, আর যেসব এলাকা নতুন করে হটস্পট হওয়ার সম্ভাবনা এক থাকবে না, সেখানে ছাড় দেওয়া হবে। এই ছাড় নিয়েয় আজ দিশা নির্দেশ জারি হয়েছে।
MHA issues updated consolidated revised guidelines after correcting the date from 20th May to 20th April 2020, on the measures to be taken by Ministries/Departments of Govt of India, State/UT governments & State/UT authorities for the containment of #COVID19 in India. (2/2) pic.twitter.com/5T7CzaKMZc
— ANI (@ANI) April 15, 2020
জানুন কি কি বন্ধ থাকবে? ঘরোয়া আর আন্তর্জাতিক বিমান সেবা, যাত্রী ট্রেন, সমস্ত রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিল্প এবং ব্যবসায়িক গতিশীলতা, হোটেল, ট্যাক্সি, অটো রিকশা, সাইকেল রিকশা, সিনেমা হল, শপিং কমপ্লেক্স, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, সুইমিং পুল, বার, থিয়েটার, কোনরকম আয়োজন, সমস্ত ধার্মিক স্থান বন্ধ থাকবে। শেষকৃত্যের জন্য ২০ এর বেশি মানুষ একত্রিত হতে পারবেন না।
কিসে পাওয়া যাবে ছাড়? মন্ত্রালয় অনুযায়ী, ২০ এপ্রিল যেসব গতিবিধি গুলোতে ছাড় দেওয়া হবে সেগুলো হল, কৃষি, ফুলের বাগান, চাষাবাস, কৃষি উৎপাদন গুলোর কেনা বেচা, বাজার। এর সাথে সাথে এজেন্সি গুলো কৃষকদের উৎপাদন কিনতে পারবে। মনরেগা অনুযায়ী কাজ জারি রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মানুষের কাছে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার আবেদন করা হয়েছে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে করা নির্মাণের কাজে ছাড় দেওয়া হয়েছে।