“সবাই রাজা রাজার রাজত্বে” মোদি জমানায় হিন্দু শরণার্থীরা পেল স্বর্গসুখ, যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক : নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রথম থেকেই চলছিল একটা রাজনৈতিক রণক্ষেত্র। রণক্ষেত্র দুইপক্ষের যোদ্ধারাই তাদের অস্ত্রে শান দিচ্ছিল। অবশেষে শেষ হাসি হাসল বিজেপি সরকার। তবে এই বিলের বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারে না এই সরকার এই বলে কটাক্ষ করেন, তা রাজ্যসভায় বিল পাশ করবার সময় ও বারবার সংশোধনীর প্রস্তাব নিয়ে আসে। এবং তা বিফলে যায়। এমনকী পশ্চিমবঙ্গে কোনও ভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কিংবা এনআরসি চালু করা হবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে উত্তর পূর্ব অঞ্চলের অসম এবং ত্রিপুরা।

একদিকে যখন এনআরসি নিয়ে পথে নেমেছে। বিরোধীদের অনেকাংশ তখন অপরদিকে বিজেপি সরকার ও কোমর বেঁধে নেমেছে। এনআরসি লাগু করবার জন্য বাকি ছিল রাজ্যসভা। কারণ রাজ্যসভায় পাস হয়ে গেলেই আইন প্রণয়ন হবে তবে বুধবার সেই স্বপ্ন সফল হয়েছে কেন্দ্রের।

IN06MODISHAH

বিলটির পক্ষে সায় দিয়েছে 125 জন তাই এই বিলটিকে একদিকে যুগান্তকারী এবং অন্যদিকে এই দিনটিকে ঐতিহাসিক দিন বলে আখ্যা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি তারে জন্য যে সমস্ত বিষয় গুলো রেখেছিল তার মধ্যে অপর একটি ছিল নাগরিকত্ব বিল পাস অবশেষে শ্রেণী পাস করে গেল সেই বিল কিন্তু কংগ্রেস বর্ষীয়ান নেত্রী সনিয়া গাঁধী দিনটিকে সংবিধানের কালো দিন বলে আখ্যা দিয়েছেন।

প্রশ্ন হচ্ছে, যে বিল ভারতের হাজার হাজার শরণার্থীদের পাকা জায়গা করে দেবে এবং যারা উৎপীড়িত লাঞ্ছিত পার্শ্ববর্তী কিছু মুসলিম দেশে তাদের স্থায়ী সমাধান করে দেবে তাতে বিরোধীদের এত জ্বালা কিসের? বিষয় নিয়ে বারবার অমিত শাহ রাজ্যসভায় খোঁচা দিয়েছেন।

সম্পর্কিত খবর