বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী সরকার আয়ুষ্মান ভারত যোজনার (Ayushman Bharat Yojana) দ্বিতীয় পর্বের ঘোষণা করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারের ফ্ল্যাগশিপ স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির ৩৫ কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। মূলত, এই প্রকল্পের আওতায় মধ্যবিত্তদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্য সুবিধা পাওয়া যাবে। যেটির নামকরণ করা হবে “আয়ুষ্মান ভারত ২” (Ayushman Bharat 2)।
বিভিন্ন বিকল্প বিবেচনা করা হচ্ছে: এই প্রসঙ্গে মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, “আয়ুষ্মান ভারত ২” বর্তমানে থাকা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আদলে বাস্তবায়িত হবে। এমতাবস্থায়, এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যয় ও চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন বিকল্প বিবেচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এই নিয়ম কার্যকর হলে আয়কর প্রদানকারী পরিবারগুলি লাভবান হবে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।
অর্থ মন্ত্রকের কাছে পেশ করা হবে প্রস্তাব: সূত্রের দাবি, এক্ষেত্রে বিমা কোম্পানিগুলির আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন বিকল্প বিবেচনা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, সরকারের তরফে এবারের বাজেটে যাঁদের আয় ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত তাঁদের আয়কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, এবার এই ব্যক্তিদের আয়ুষ্মান ২-তে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা করে অর্থ মন্ত্রকের কাছে প্রস্তাব রাখা হবে।
৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কভার দেওয়ার প্রসঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে: মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, “আয়ুষ্মান ভারত ২”-তে ৫ লক্ষ টাকার কভার দেওয়ার প্রসঙ্গে ভাবনাচিন্তা চলছে। পাশাপাশি, এই যোজনা ব্যক্তিগত টপ-আপের ভিত্তিতে নিয়ে আসার বিষয়েও আলোচনা চলছে। দ্বিতীয় বিকল্পটি হল হেল্থ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিগুলিকে সাশ্রয়ী মূল্যে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলিকে বেসিক হেল্থ কভারেজ দেওয়া। উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের বাজেটে কেন্দ্রীয় সরকার “আয়ুষ্মান ভারত” প্রকল্পের ঘোষণা করেছিল। যার মাধ্যমে দেশের ১০ কোটি পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিমা দেওয়া হচ্ছে।
এখন কারা পাচ্ছেন সুবিধা: মোদী সরকারের শুরু করা উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারতের মাধ্যমে, দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারগুলি লাভবান হয়েছে। এই স্কিমটি শুরু করার পেছনে সরকারের উদ্দেশ্য হল দরিদ্র ও অসহায় পরিবারে কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়লে যে খরচ হয় তাতে সাহায্য করা এবং উন্নতমানের চিকিৎসা প্রদান করা। এই প্রকল্পের অধীনে, একটি পরিবার চিকিৎসার ক্ষেত্রে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সুবিধা পায়।