করোনা ভাইরাসের প্রসার রোধে ব্যর্থ মোদী সরকার, তীব্র কটাক্ষ আসাদুদ্দিন ওয়েসির

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতে দ্রুত হারে করোনা বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) দায়ী করলেন এইআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েসি (Asaduddin Owaisi)। করোনা ভাইরাসকে রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন মোদী জী। এমনকি লকডাউনের পরিকল্পনাও ছিল অপরিকল্পিত। তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লকডাউনকে অসাংবিধানিক বলেও অভিযোগ করেন ওয়েসির।

করোনা ভাইরাস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ব্যর্থতার পাশাপাশি তিনি ভারত-চীনের বিরোধ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ভারত-চীনের সীমান্ত বিবাদে দেশের প্রধানদের মধ্যেকার কথা নাগরিকদের জানানো উচিত ছিল বলেও, মন্তব্য করেন তিনি।

modi 1 696x392 1

 

প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ ওয়েসির
এইআইএমআইএম (AIMIM) প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েসির অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর জন্যই নাকি দ্রুত গতিতে বেড়েছে এই মহামারি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বলেন, ”হাততালি, থালা বাজানো এবং দ্বীপ জ্বালিয়ে কিছুই হয় না। মোদীজীর কাছে দেশবাসী কোন কিছু আশাই করবেন না। দেশে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছিল, তখনই লকডাউন জারী করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিনি তা করলেন না। সেই কারণেই এখন এই সংখ্যা লক্ষে পৌঁছে গেছে”।

অপরিকল্পিত লকডাউন
লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ”এই লকডাউন কোন পরিকল্পনা করেই করা হয় নি। যখন সব পরিযায়ী শ্রমিকরা ধীরে ধীরে বাড়িতে ফিরে আসছে, এই সময় শিথিল করা হচ্ছে লকডাউন”। বিজেপি সরকাররে বিরুদ্ধে সুযোগ পেয়ে তিনি কোন কিছুই বলতে বাদ রাখলেন না। তিনি অভিযোগ করলেন, ট্রেনে আসতে গিয়ে প্রায় ৮৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই শ্রমিকদের মারা যাওয়ার ঘটনায় তিনি রাজনৈতিক রঙ চড়িয়ে বলেন, তারা সকলেই OBC, SC এবং ST সম্প্রদায়ের ছিল।

new 35

মসজিদে নামাজ পড়া যাবে
দেশের জারী হওয়া আনলক-১ এর ফেজ- ২ এ তিনি মসজিদ খোলার বিষয়েও কথা তোলেন। তিনি বলেন, ৬৫ বছরের বেশি এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের মসজিদে এসে নামাজ পড়বার প্রয়োজন নেই। এবং বাকিরা বাড়ি থেকে ভালো করে হাত, পা এবং মুখ ধুয়ে এসে মসজিদে কার্পেট এবং মাদুর ব্যবহার করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়তে পারে। তবে মসজিদের বাথরুম ব্যবহার করা যাবে না।

ভারত-চীন বিবাদে হস্তক্ষেপ
ভারত-চীন সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচিত ভারত-চীন সীমা বিবাদের বিষয়ে দেশকে জানানো। এমনকি বিজেপিকে আক্রমণ করে RSS-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলতে ছাড়লেন না। তার কথায়, যখন যখনই পাহাড়ের উপর থেকে বরফ গলতে শুরু করে, তখন তখনই চীন ভারতের সীমান্ত এলাকায় হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে দেয়।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর