বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগের বছর দুর্গাপুজোতে (Durga Puja) রাজ্যের ক্লাবগুলির জন্য অনুদান বৃদ্ধি করেছে মমতা সরকার। দূর্গাপুজো ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ দশ হাজার টাকা বাড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার। ২০২২ সালে পুজো অনুদান ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছিল ৬০ হাজার টাকা।হেরিটেজ তকমা পাওয়ার দ্বিতীয় বছরে ফের ১০,০০০ টাকা সাহায্য বাড়ান মুখ্যমন্ত্রী। গত বছর রাজ্য জুড়ে প্রায় ৪৩ হাজার পুজো কমিটির জন্য ৭০,০০০ টাকা করে অনুদান দেয় রাজ্য সরকার (State Government)।
রাজ্য সরকারের এই অনুদান নিয়ে কম সমালোচনা করেনি বিজেপি (BJP)। এমনকি শোনা গিয়েছিল বিজেপি নেতা সজল ঘোষের পুজো নামে পরিচিত সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার রাজ্য সরকারের দুর্গাপুজোর অনুদানও ফিরিয়েও দেয়। আর এবার শোনা যাচ্ছে রাজ্যের দুর্গাপুজোগুলিকে আর্থিক অনুদান (Financial Aid) প্রদান করতে মোদী সরকার। অর্থাৎ এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে কেন্দ্র সরকার (Central Government)।
সূত্রের খবর, কেন্দ্র সরকার ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের মধ্যে ক্লাবগুলিকে সাহায্য প্রদান করবে। তবে জানিয়ে রাখি, রাজ্যের সমস্ত ক্লাব এই অনুদান পাবে না। কেবল মাত্র ৩৫টি ক্লাব পাবে এই সাহায্য পাবে। তবে কোন কোন ক্লাবকে অনুদান দেওয়া হবে বা কীসের ভিত্তিতে ক্লাব বাছাই হবে সেসব এখনও জানা যায়নি।
সূত্রের খবর, আজ দুপুরের দিকে এই অনুদান দেওয়ার জন্য এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মোট ৩৫টি ক্লাবের হাতে এই অনুদান তুলে দেওয়া হবে। এক সামাজিক সংগঠন মারফত সেই অর্থ পৌঁছে যাবে ক্লাবগুলির কাছে। জানা যাচ্ছে কলকাতার তিনটি নামী পুজোকেও অনুদান দেওয়া হবে। তবে সেই ক্লাবগুলির নাম জানা যায়নি।
বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, “রামই দুর্গাপুজো শুরু করেন বাংলায়। অকাল বোধনই আসল বোধন। তাই অযোধ্যায় রামমন্দির প্রতিষ্ঠার পরই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।” লোকসভার আগে এভাবে বাংলার ক্লাবগুলোকে অনুদান দেওয়ার খবরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: দুই বিচারপতির সংঘাত তুঙ্গে! জানেন কে এই জাস্টিস সৌমেন সেন? আসল তথ্য জানলে মাথা ঘুরে যাবে
এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের দেখানো পথেই বিজেপিকে হাঁটতে হবে। তবে কীসের ভিত্তিতে ৩৫টি ক্লাব বাছাই করা হয়েছে তা জানা নেই। ক্লাবগুলির নাম শুভেন্দু অধিকারী নাকি সুকান্ত মজুমদার ঠিক করে দিয়েছেন তা দেখতে বলুন।”
ওদিকে বিজেপি মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্যও এই প্রসঙ্গে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার যখন ৩৫টি ক্লাবকে চিহ্নিত করেছেন তখন নিঃসন্দেহে কিছু গাইডলাইনস রয়েছে। কেন্দ্র যেটা করছে সেটা নির্দিষ্ট আঙ্গিকে করছে।”