বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চতুর্থ দফার ভোটের দিনই রক্তাক্ত বাংলা। কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চারজনের নিহত হওয়ার ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। গুলি চালানোর ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিজেপি ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহের (Amit Shah) নির্দেশেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বাহিনী। এর জন্য আগামীকাল রাজ্য জুড়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিলে নামতে চলেছে তৃণমূল।
অন্যদিকে গেরুয়া শিবির (BJP) শুরু থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমোর (Mamata Banerjee) ‘বাহিনী ঘেরাও’ করার নিদানকেই দায়ী করছে। সেই মত শিলিগুড়ির জনসভা থেকেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলাতেই শোনা গেল একই সুর। এদিন তিনি মমতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর আক্রমণের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ তুলে সরব হন। মোদীর কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী ১০ বছর সরকার চলানোর পর শেখাচ্ছেন কীভাবে বাহিনী ঘেরাও করতে হয়!’ এদিন তিনি কোচবিহারে যা হয়েছে তার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং মৃতের পরিবারদের প্রতি সমবেদনা জানান।
পাশাপাশি এদিন এই গুলি কাণ্ডে মমতাকে বিঁধে মোদী (Narendra Modi) আরও বলেন, ‘মানুষকে নিরাপত্তা বাহিনীর উপর আক্রমণের উস্কানি দেওয়ার পদ্ধতি, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাঁধা দেওয়ার পদ্ধতি দিদি আপনাকে বাঁচাতে পারবে না।’ এমনকি তিনি এও বলেন,’আপনার ১০ বছরের কুকর্ম থেকে হিংসা আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না।’ এখানেই থেমে না থেকে কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে মমতাকে প্রশ্ন করেন ,’দেশের বাহাদুর নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের ভয় পায় না। সে আপনার পোষা গুণ্ডাদের আর আপনাকে কেন ভয় পাবে ?’
এনিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,’এটা বাজে কথা। প্রধানমন্ত্রীর মুখে এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা মানায় না, এটা জাতির লজ্জা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন কলকাতায়। আর গুলি চলল কোচবিহারে। কী করে উস্কানি দেবেন উনি?’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এই কোচবিহারে গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে একহাত নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে (Central Force) ‘ঘেরাও করার’ নিদানও দিয়েছিলেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিস পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।