বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এই বছর প্রজাতন্ত্র দিবসে (Republic Day) ৪৮ বছরের পুরনো পরম্পরা ভেঙে এন নতুন পরম্পরার সৃষ্টি করলেন। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী মোদী যুদ্ধবীরদের বলিদানকে স্যালুট জানাতে ইন্ডিয়া গেটে (India Gate) অমর জওয়ান জ্যোতি (Amar Jawan Jyoti) যাননি, উনি সম্প্রতি বানানো রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ স্মারকে (National War Memorial) গিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেন।
এটাই প্রথম যে, কোন প্রধানমন্ত্রী অমর জওয়ান জ্যোতি না গিয়ে যুদ্ধ স্মারকে গেলেন, আর সেখানে গিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিলেন। এই অবসরে দেশের প্রথম চীফ অফ ডিফেন্স স্টাফ ছাড়াও তিন সেনার প্রধান সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে শহীদদের স্মরণে দিল্লীর ইন্ডিয়া গেটে ১৯৭২ সালে অমর জওয়ান জ্যোতি স্মারক বানানো হয়েছিল।। প্রথমে তিন সেনার প্রধান স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবসরে সেখানে গিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিতেন। এবার প্রথম সিডিএস গণতন্ত্র দিবসে অংশ নেন। উল্লেখ্য, প্রাক্তন সেনা প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত ১লা জানুয়ারি থেকে সিডিএস পদের দায়িত্ব নিয়েছেন।
অমর জওয়ান জ্যোতি একটি বন্দুকের উপরে জওয়ানের হেলমেট রাখা আছে, আর সেটির নীচে অবিরাম একটি প্রদীপ জ্বলে। ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে শহীদ হওয়া জওয়ানদের স্মরণে ইন্ডিয়া গেটে এই স্মারক নির্মাণ করা হয় ১৯৭২ সালে। প্রায় ৪০ একর এলাকায় থাকা রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ স্মারকে চারক চক্র অমর চক্র, বীরতা চক্র, ত্যাগ চক্র আর রক্ষক চক্র আছে, সেখানে গ্রানাইটের পাথরে স্বর্ণাক্ষরে ২৫ হাজার ৯৪২ জন জওয়ানের নাম লেখা আছে।
রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ স্মারকে ১৫.৫ মিটার উঁচু একটি স্মারক স্তম্ভ, অবিরাম জ্বলতে থাকা জ্যোতি আর কাঁসা দিয়ে ভারতীয় সেনা, বায়ু সেনা আর নৌসেনা দ্বারা লড়াই করা প্রসিদ্ধ লড়াই গুলোর ছবি আঁকা আছে। এই স্মারক ১৯৬২ ভারত চীন যুদ্ধ, ১৯৪৭, ১৯৬৫ আর ১৯৭১ এর ভারত-পাক যুদ্ধ, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধ তথা সংযুক্ত শান্তি রক্ষা অভিযানের সময় শহীদ জওয়ানদের সমর্পিত করা হয়েছে।
৪২ মিটার উঁচু ইন্ডিয়া গেট প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (১৯১৪-১৯১৮) আর তৃতীয় অ্যাংলো-আফগান যুদ্ধ (১৯১৯) এ শহীদ জওয়ানদের সন্মানে অল ইন্ডিয়া ওয়ার মেমোরিয়াল আর্চ রুপে ব্রিটিশ রাজ দ্বারা বানানো হয়েছিল।